Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি হত্যায় আরেক বাংলাদেশির কারাদণ্ড

rasel
রায় ঘোষণার পর ঘাতক রাসেল

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আরেক বাংলাদেশিকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত।

বাড়ি ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মাহমুদ দুলালকে (৫৭) ধারালো তলোয়ার দিয়ে জবাই করেন তারই মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটে মোহাম্মদ রাসেল সিদ্দিকী (৩০)।

chardike-ad

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নীল ফিরেটোগ ওই ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামী রাসেলকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় দেওয়ার সময় আসামী রাসেল ছিলেন ভাবলেশহীন।

হত্যার শিকার দুলালের বাড়ির ‘বেইজমেন্টে’ ভাড়া থাকতেন রাসেল। সেখানেই দুলালকে হত্যা করে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু হত্যার দুইদিন পর নিউ ইয়র্কের জেএফ বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর আর জামিন পাননি রাসেল। বিচার প্রক্রিয়ার শেষদিন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রাসেল নিজের দোষ স্বীকার করে এ ঘটনায় দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি জড়িত ছিল না বলে আদালতে জানায়।

পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাসেল বরাবরই বলে এসেছেন, সময় মতো ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় তাকে ‘তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য’ করা কথাবার্তা পছন্দ হয়নি বলে খুন করেছেন।

dulal
নবজাতক সন্তানকে আদর করছেন দুলাল। পাশে তার স্ত্রী আফরোজা।

রায়ের পর ব্রুকলিনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি (ভারপ্রাপ্ত) এরিক গঞ্জালেজ গণমাধ্যমকে বলেন, “রাসেল কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। ৩ সন্তানের জনক দুলালকে হত্যা করে যে অপরাধ করেছেন তার প্রায়শ্চিত্য তাকে করতে হবে।

“কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষে রাসেলকে আরো ৫ বছর কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিতে অতিবাহিত করতে হবে।”

আদালত প্রাথমিকভাবে ‘এটি একটি মানুষকে নির্মমভাবে হত্যার একমাত্র কারণ হতে পারে না’ বিবেচনা করে আসামী রাসেলকে বেশ কয়েক মাস মানসিক চিকিৎসালয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পরও রাসেল পুরনো জবানবন্দিতে অটল থাকেন।

হত্যার শিকার দুলাল তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের সন্দ্বীপে। আর সাজাপ্রাপ্ত রাসেলের বাড়ি নোয়াখালী।

রায়ের সময় শিশু সন্তানসহ দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় পরিচিতজনেরা তাকে সান্তনা দেন।