সৌদি আরবের হারাত খায়বারের আগ্নেয়গিরির আশেপাশে ওই রহস্যজনক কাঠামোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এক খবরে জানিয়েছে। ওই পাথুরে কাঠামোগুলো দেখতে দরজার মতো মনে হওয়ায় বিজ্ঞানীরা এগুলোকে ‘ফটক (গেটস)’ নামে চিহ্নিত করেছেন।
গেটগুলোর বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে বেশি কিছু জানাতে পারেনি। এগুলো ঠিক কি উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহৃত হতো, কত পুরাতন, কারা তৈরি করেছে এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অজানা তাদের কাছে। একটি আগ্নেয়গিরির মুখের চারপাশে এই দরজাগুলোর অবস্থান।
বর্তমানে আগ্নেয়গিরিটি সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যখন এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্নি ছিল তখন এই দরজাগুলো বানানো হয়েছিল। আগ্নেয়গিরির চারপাশের মাঠের উপরে এবড়ো থেবড়োভাবে বানানো কয়েকটি নিচু পাথুরে দেয়াল দেখতে অনেকটা ইংরেজি আই (I) হরফের মতো। এই দেয়ালগুলোর মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১৭০০ ফুট।
বিজ্ঞানীরা ঘুড়ি আকৃতির কিছু পাথুরে কাঠামোরও সন্ধান পেয়েছে। ঘুড়ি আকৃতির কাঠামোগুলো পশু শিকারের কাজে ব্যবহার করা হত। কিন্তু দরজা ও ঘুড়ির মতো দেখতে এই কাঠামোগুলোর মধ্যে কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনো বিশ্লষণ করছেন গবেষকরা।
গবেষণার পরবর্তী ধাপে বিজ্ঞানীরা ওই অঞ্চলে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালাবেন। তখন পরীক্ষা করার জন্য দরজাগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কার্বন ডেটিং পদ্ধতিতে ওই স্থাপনাগুলো কতটা পুরাতন তা নির্ণয় করা হবে।
এসব অদ্ভুত চিহ্নের বিষয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার গবেষক ডেভিড কেনেডি। তিনি বলেন, ‘এসব চিহ্ন পাওয়া গেছে একেবারে অনুর্বর ও নিরস এলাকায়, যেগুলো আগ্নেয়গিরির লাভার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পানির অভাবে গাছপালাও ঠিকভাবে জন্মাতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো পাথরের তৈরি ও নিচু। কিছু স্থাপনার ওপর দিয়ে আবার লাভা প্রবাহের লক্ষণ দেখা গেছে। ফলে এটা অনুমান করা যায় যে, এগুলোর কিছু আগ্নেয়গিরির লাভাপ্রবাহের আগেই তৈরি হয়েছে।’
গবেষক ডেভিড কেনেডি জানান, তিনি এ স্থাপনাগুলো সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র লিখেছেন। এটি আগামী নভেম্বর মাসে অ্যারাবিয়ান আর্কিওলজি অ্যান্ড এপিগ্রাফিতে প্রকাশিত হবে। সেখানেই সবকিছু উল্লেখ করা হবে। আর বিস্তারিত জানতে হলে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।