Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রাম্পের বক্তব্য মারাত্মক উস্কানিমূলক!

trumpমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক দেশ হিসেবে অভিহিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। দেশটি দাবি করেছে, ট্রাম্পের বক্তব্য ‘মারাত্মক উস্কানিমূলক’ এবং উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনের সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল তার প্রমাণ এটি।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, সন্ত্রাসবাদের সাথে দেশটির কোনো সম্পর্ক নেই এবং আমেরিকা পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনল তা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি আরো বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক আখ্যা দিয়ে আমেরিকা পিয়ংইয়ংকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়।

chardike-ad

গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে এক কেবিনেট বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি দাবি করেন, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আরো বহু বছর আগে উত্থাপন করা উচিত ছিল।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থক দেশগুলোর মার্কিন তালিকায় এর আগেও উত্তর কোরিয়ার নাম ছিল। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ ২০০৮ সালে ওই তালিকা থেকে উত্তর কোরিয়ার নাম বাদ দেন। উত্তর কোরিয়ার ঘোষিত প্রধান পরমাণু স্থাপনা ‘ইয়ংবিয়ন’-এ মার্কিন পরিদর্শকদের প্রবেশ করতে দেয়ার লক্ষ্যে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা অর্জনের লক্ষ্যে ওই কাজ করেন বুশ।

সে সময় মার্কিন সরকারের ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পিয়ংইয়ং বলেছিল, দেশটি তার পরমাণু স্থাপনাগুলো অকার্যকর করার উদ্যোগ নেবে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী কথাবার্তা উত্তর কোরিয়ার সাথে আমেরিকার সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

রাখাইনে জাতিগত নিধনের সব আলামত রয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর পরিচালিত অভিযানে জাতিগত নিধনের সব আলামত রয়েছে উল্লেখ করে সতর্ক করে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বলছে, বিশ্ব এই নৃশংসতা দেখছে এবং কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে ব্যাপারে ভাবছে।

মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর জেফ মের্কলে। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর নৃশংসতা এবং ভয়াবহ হামলার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ দীর্মেয়াদি পপাতমূলক আচরণ ও বৈষম্য; যা দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত।’

মার্কিন সরকারের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কক্সবাজার, মিয়ানমারের নেপিডো এবং রাখাইনের রাজধানী সিত্বই সফর শেষে ইয়াঙ্গুনে ওই সংবাদ সম্মেলন করে। সিনেটর জেফ মের্কলে বলেন, অং সান সু চি গত সেপ্টেম্বরে দেয়া এক ভাষণে বিদেশী কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গা শিবির এবং গ্রামগুলো সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা তার এই পদেেপর প্রশংসা করছি। আমরা তার সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছিলাম।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন রাখাইনের কিছু গ্রাম ও শিবিরে মার্কিন এই প্রতিনিধি দলকে প্রবেশ করতে দেয়নি। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন এই সিনেটর বলেন, তিনি কষ্ট পেয়েছেন যে, রাখাইনের বেশ কিছু গ্রাম ও শিবিরে প্রতিনিধি দলকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।

উত্তর রাখাইনে পুরোদমে মানবিক তৎপরতা শুরু করতে ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন এই কর্মকর্তা। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়ার পথ পরিষ্কার করতে নেইপিডোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ ছাড়া রাখাইনে নিরাপত্তাবাহিনীর কিয়ারেন্স অপারেশন নিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বিশ্বাসযোগ্য তদন্তেরও আহ্বান জানান মের্কলে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব দেখছে, মিয়ানমার সরকার কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।’

মের্কলে ছাড়াও মার্কিন এ প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলীয় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ডিক ডার্বিন, মিনেসোটার সিনেটর বেটি ম্যাক কোলাম, ইলিনয়ের অন্য সিনেটর জ্যান চকোস্কি ও রোড আইল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর ডেভিড সিসিলিন।- রয়টার্স