Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চিটাগংকে বিদায় করে শীর্ষে ঢাকা

Shakib-and-Delportচিটাগং ভাইকিংসের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেললেন ঢাকা ডায়নামাইটসের কারিবীয় ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের করা ১৮৭ রান ঢাকা পেরিয়ে গেছে ৭ বল হাতে রেখেই। এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয় এটিই। ৭ উইকেটের বিশাল এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটস।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার বড় লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের তৃতীয় বলে ডাক মেরে ফেরেন শহীদ আফ্রিদি। তবে আরেক ওপেনার লুইস ছিলেন এদিন অপ্রতিরোধ্য। আগের দুই ম্যাচে তিনি রান পাননি। এদিন শুরুটা করেছিলেন অবশ্য একটু ধীরলয়ে। প্রথম ৪ রান করতে খেলেছেন ৬ বল। মুখোমুখি সপ্তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন।

chardike-ad

চিটাগংয়ের কোনো বোলারই এদিন লুইসের হাত থেকে রক্ষা পাননি। সবচেয়ে বড় ঝড় বয়ে গেছে সানজামুল ইসলামের ওপর দিকে। বাঁহাতি স্পিনারের করা ইনিংসের নবম ওভারে লুইস ছক্কা হাঁকিয়েছেন চারটি! প্রথম তিন বলে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে লুইস ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ২৫ বলে। এক ওভারে ২৬ রান দেওয়া সানজামুলকে আর বোলিংয়েই আনার সাহস করেনি চিটাগং।

দ্বিতীয় উইকেটে জো ডেনলিকে সঙ্গে নিয়ে লুইস গড়েন ১১৮ রানের বড় জুটি। বিধ্বংসী হয়ে ওঠা লুইসকে ফিরিয়ে দ্বাদশ ওভারে এ জুটি ভাঙেন তার স্বদেশী বোলার রায়াদ এমরিট। ৩১ বলে ৯ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন লুইস। পরের ওভারে ফিরে যান ডেনলিও। তার আগেই প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে নামা এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ৩৯ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৪ রান।

বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক সাকিব ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে সহজেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় ঢাকা। ২৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেলপোর্ট। ১৭ বলে ৩ চারে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। চিটাগংয়ের তাসকিন, এমরিট ও তানভীর হায়দার নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন চিটাগং অধিনায়ক লুক রনকি। ‘স্বাগতিক’ দলের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। দলীয় ১৭ রানে সুনীল নারিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৫ বল খেলে করেন মাত্র ১ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক রনকি ও এনামুল হক বিজয়। দুজন গড়েন ১০৭ রানের বড় জুটি। এই জুটি গড়ার পথে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। রনকি ৪০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫৯ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৪৭ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৩ রান করেন বিজয়।

আর শেষ দিকে সিকান্দার রাজার ১১ বলে ৪ চারটি চারে অপরাজিত ২৬ রানের সুবাদে ১৮৭ রানের বড় পেয়েছিল চিটাগং। কিন্তু ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেটিকে মামুলি বানিয়ে ফেললেন লুইস! ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’-এর পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।

নয় ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের পয়েন্ট ১১। এক ম্যাচ কম খেলা খুলনা টাইটান্সেরও সমান ১১ পয়েন্ট। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে ঢাকা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে হারাতে পারলেই আবার শীর্ষে উঠে যাবে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বাধীন খুলনা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৮৭/৫ (বিজয় ৭৩, রনকি ৫৯, সিকান্দার ২৬; নারিন ১/১১, শহীদ ১/২৮, হায়দার ১/৩৫, সাকিব ১/৫১)

ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৮.৫ ওভারে ১৯১/৩ (লুইস ৭৫, ডেনলি ৪৪, ডেলপোর্ট ৪৩*, সাকিব ২২*; তানভীর ১/১৮, এমরিট ১/২৪, তাসকিন ১/৩৫)

ফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এভিন লুইস।