Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ড্রাগ নিয়ে থাকলে কোরিয়া আসার চেষ্টা বাদ দিন

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস ভিসা নিয়ে যারা আসছেন তাদেরকে সচেতন করার জন্যই এই লেখা। গত মাসে ২ জন এবং গত সপ্তাহে ১জন সদ্য ইপিএসে আসা বাংলাদেশীকে বাধ্যতামূলক দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কারণ  তাদের রক্তে ড্রাগ (마약) পাওয়া গেছে।

chardike-ad

আমরা সকলেই জানি, কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা করা কতটা কষ্টকর,  ব্যয়সাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপর লটারী, ভাষা পরীক্ষা,  স্কীল টেস্ট,  মেডিক্যাল টেস্ট সহ আরো কতকিছু। প্রতিটি ধাপে দ্বিধা,  সংশয় আর অনিশ্চয়তা এবং অপেক্ষার পর অপেক্ষা। কত জায়গায় ছুটাছুটি করতে হয়, কত সময় খরচ করতে হয়, এবং কত টাকা খরচ করতে হয় তা যারা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তারা জানেন।

এতকিছু করে ইপিএসের সকল ধাপ সফলভাবে পার করে শেষ পর্যায়ে কেউ যদি সামান্য ভুলে পা পিছলে পড়ে যায় তবে তার মতন পোড়া কপাল আর কেউ নেই।

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি যে, যারা নতুনভাবে কিংবা কমিটেড বা স্পেশাল সিবিটি হয়ে কোরিয়াতে প্রবেশ করেন, তাদেরকে কোরিয়া আসার পর আবার একবার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। এবং সেই টেস্টের মধ্যে ডোপ টেস্ট (마약 검사-(Dope Test) করানো হয়। ইউরিন (Urine)  থেকে এই পরীক্ষা করা হয়।

এটি ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ পরীক্ষা। এটি কোরিয়ানরা খুবই গুরুত্ব সহকারে নিজ দেশে নিজেদের দায়িত্বে করে থাকে এবং এর খরচ মালিককে বহন করতে হয়। এই পরীক্ষায় যদি আপনার রক্তে ড্রাগ  পাওয়া যায় তাহলে আপনাকে কোরিয়া থেকে অনতিবিলম্বে বাধ্যতামূলক দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এই ব্যাপারটি শুধুমাত্র আপনার জন্য অপমানকর ও লজ্জার নয়, পক্ষান্তরে আমরা আমাদের বাংলাদেশী প্রবাসীরা এবং আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও সমানভাবে অপমানিত ও কলঙ্কিত হয়।

আমি জানিনা কিভাবে বোঝাতে হয় কিংবা সতর্ক করতে হয়। আমি যদি আমার ভাষায় বলি তাহলে বলবো ‘আপনি কোরিয়া আসার চেষ্টা ও স্বপ্ন দেখা বাদ দিন অথবা মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইনসহ সব ধরনের ড্রাগ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আমরা এমনভাবে আর কলঙ্কিত হতে চায় না। আশা করি সবাই সতর্ক হবেন।