Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবের ঢাকা

Dhaka-Winবিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ৭ উইকেটে করে ১৯১ রান। জবাবে ১৮ ওভারে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

লিগ পর্বের দুই ম্যাচেই হারের মধুর প্রতিশোধই নিল সাকিব আল হাসানের দল। শিরোপা নির্ধারণীতে দু’দল ফের মুখোমুখি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আবার ঢাকার প্রতিপক্ষ হতে পারে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। যেটি জানা যাবে ১০ ডিসেম্বর রংপুর ও কুমিল্লার মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।

chardike-ad

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্লে-অফ পর্বের দু’টি ম্যাচই হলো একতরফা। নকআউট ম্যাচে (এলিমিনেটর) ক্রিস গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের উড়ন্ত জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে রংপুর। দু’দিন পর যাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে কুমিল্লা। চূড়ান্ত হবে ১২ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট। গেইলের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে খুলনার বিদায়

সরাসরি ফাইনালের ওঠার হাইভোল্টেজ ম্যাচে ঢাকার বড় স্কোরই পার্থক্য গড়ে দেয়। স্নায়ুর পরীক্ষায় ছন্দে থাকা কুমিল্লার সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপ একেবারে ব্যর্থ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১ রান করেন।

শেষদিকে বোলার হাসান আলী ১৮ ও মেহেদী হাসান ১৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। আর সবাই দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইমরুল কায়েস, জস বাটলার, মারলন স্যামুয়েলস, শোয়েব মালিক, ডোয়াইন ব্রাভো কেউই নিজেদের নামের সুবিচার করতে পারেননি।

কুমিল্লার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন ম্যাচ সেরা শহীদ আফ্রিদি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে তিনটি উইকেট দখল করেন তিনি। দু’টি করে নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও সাকিব আল হাসান। সুনীল নারাইন, আবু হায়দার রনি নেন একটি করে। রানআউট হন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (০)।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় তারা। সর্বোচ্চ ৪৭ রান (৩২ বল) আসে ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইসের ব্যাট থেকে। জো ডেনলি ২৫ বলে ৩২ (রানআউটট), কাইরন পোলার্ড ১৮ বলে ৩১, শহীদ আফ্রিদি ১৯ বলে ৩০ করে ১৯তম ওভারে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩, সাকিব ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। সুনীল নারাইন ৪ বলে ৯ ও জহুরুল ইসলাম ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

চার ওভারে ১৬ রান খরচায় তিনটি উইকেট লাভ করেন পাকিস্তান পেসার হাসান আলী। ৪৫ রানের খরুচে বোলিংয়ে ২ উইকেট নেন ডোয়াইন ব্রাভো। অন্যটি শোয়েব মালিকের।