কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন পেলেন বাংলাদেশের পপি। ওষুধের বদলে অসুস্থ স্ত্রী পপি রানী সাহার হাতে এসিডের বোতল তুলে দিয়েছিলেন পাষণ্ড স্বামী। এসিড পান করার পর ঝলসে যায় পপির কণ্ঠনালী ও শরীরের অন্যান্য অংশ। ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিলেও স্বাভাবিকভাবে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে পারছিলেন না। সিরিঞ্জ দিয়ে তরল খাবার পেটের সঙ্গে লাগানো টিউবের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করাতে হতো। ডাক্তাররা বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন।
হঠাৎই পপিকে খুঁজে পান টরন্টো জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার টনি ঝ্যাং। একটি চ্যারিটি সংস্থার হয়ে তিনি তখন ঢাকায় কাজ করছিলেন। টনি ঝ্যাংয়ের বিশ্বাস ছিল, চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে পপির ফিরে আসা সম্ভব। টরন্টো ফিরে ফান্ডের ব্যবস্থা করে ডা. ঝ্যাং পপিকে কানাডাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনা ঘটে ফেব্রুয়ারি মাসে। আট মাসে টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে পপির মোট তিনটি অপারেশন হয়েছে।
পাশাপাশি থেরাপির মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালের বিল এবং অন্যান্য খরচ এসেছে অনুদানের মাধ্যমে। পপি এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্টাফরা কেক কেটে পপির এই নতুন জীবনকে উদযাপন করেছেন।
পপির মুখেও অনাবিল হাসি ফিরেছে। পপি দেশে ফিরে এসিডের শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করতে চান। তবে কিছু পুরনো হিসাব নিকাশ এখনো বাকি। পপির স্বামী এখনো প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। তাকে শাস্তির মুখোমুখি করতে চান পপি।