মিয়ারমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিকে বিশ্বের ‘সেরা পল্টিবাজ’ নেতার তকমা দিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে সেসব বিশ্বনেতার একটি তালিকা করে তিরস্কারমূলক খেতাবে কলঙ্কিত করেছে সাংবাদিক সুরক্ষায় কাজ করা এ প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিদ্বেষী রাষ্ট্রপ্রধানদের ৫ ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে সিপিজে।
দীর্ঘ গৃহবন্দিত্বেরকালে গণমাধ্যম, বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে বরাবরই সোচ্চার দেখা গেছে সু চিকে। আর ক্ষমতায় আসার পর থেকে বদলে যেতে থাকে তার অবস্থান। এখন তো পুরো পাল্টে গেছেন সু চি। নিজের দেশের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞকে তিনি ?‘মিডিয়ার বাড়াবাড়ি’ কিংবা ?‘মিথ্যাচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিজে তাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে সবেচেয়ে ‘বড় পল্টিবাজ’ (বিগেস্ট ব্যাকস্লাইডার ইন প্রেস ফিডম) খেতাবে ধিক্কার দিয়েছে।
‘সংবাদমাধ্যমের প্রতি সবচেয়ে শক্ত হাত’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। আর ‘বৈশ্বিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণকারী’ বিভাগে একাই পুরস্কার জিতেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তুরস্কের বিচার বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট’ বা ‘তুরস্কের জাতীয়তাকে’ আঘাত করার অভিযোগ সংক্রান্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি মামলার বিচারকাজ চলমান ছিল। এ বাস্তবতায় সংবাদমাধ্যমের প্রতি সবচেয়ে রগচটা (মোস্ট থিন স্কিনড) বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
রিসেপ তায়েপ এরদোগান।
রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, সংবাদমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এরদোগানের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। সিপিজের সর্বশেষ জরিপের সময় গত ১ ডিসেম্বরেও ৭৩ জন সাংবাদিককে আটক রেখেছিলেন তিনি। ‘গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি সন্ত্রাস চালানো’র মতো বিভাগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।