প্রাণঘাতী জিকা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে ঠিক তখনই এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার পন্থা উদ্ভাবন করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মালয়েশিয়ার বুক অব রেকর্ডসে নাম লেখালেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী তরুণ বিজ্ঞানী এম এ হামিদ। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বড় ‘মশা মারার যন্ত্র’ তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রামের সন্তান এম এ হামিদ এ রেকর্ডের অধিকারী হন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে কুয়ালালামপুরের চেরাসে টুফ্যাম ব্রাদার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ কতৃপক্ষের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা নুর আশিকিনী রামলি এম এ হামিদের হাতে রেকর্ডসের সনদ হস্তান্তর করেন।
এসময় যন্ত্রটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজক টুফ্যাম ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন সেন ও টুফ্যাম ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন মিরান, বিকে সুরিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদা রামলি অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞানী ও গবেষক হামিদ তার উদ্ভাবিত যন্ত্রকে জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করেন। তার উদ্ভাবিত নতুন মশক নিধন যন্ত্রটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়। নিজের নামের সাথে মিল রেখে নতুন এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এইচইসি মসকিটো কিলার’ (হামিদ ইলেকট্রো-কেমিক্যাল মসকিটো কিলার)।
মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস কতৃপক্ষের দেয়া সনদে বিজ্ঞানী এম এ হামিদের তৈরি মশা মারার বৃহৎ এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি ৬.৩৪ মিটার উচু ও ৩.০৪ মিটার গোলাকার বলে উল্লেখ করেন। যেটি মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মশা মারার যন্ত্র।
সূত্র- যুগান্তর