বিশ্বের ১৬৫টি দেশে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি এনামুল হকের (রাজশাহী-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নুরুল ইসলাম বলেন, বিদেশে যে সমস্ত প্রবাসী কর্মী আনডকুমেন্টেড (পরিচয়পত্রহীন) অবস্থায় রয়েছে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনের মাধ্যমে বৈধকরণ, আইনি সহায়তা দেয়া এবং দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ, আনডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধতা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাসসহ নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে ৩০টি শ্রম উইং প্রতিষ্ঠা করা, সরকারিভাবে সৌদি আরবে প্রায় ৮ লাখ, মালয়েশিয়া ২ লাখ ৬৭ হাজার, ইরাকে ১০ হাজারসহ বহু দেশে স্বল্প ব্যয়ে কর্মী পাঠানা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি জেলে বা ডিটেনশনে আটকে থাকা কর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়ে মুক্ত করে দেশে ফেরত আনা, প্রয়োজনে মালিক শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করা, বিদেশে আটকে পড়া কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, শুধু মাত্র ২০১৭ সালেই সরকারি উদ্যোগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫১ হাজার ৯৮ হাজার ৯১৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছে। বিএনপি আমলে সর্বশেষ সময়ে ২০০৬ সালে মাত্র ৯৭টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হতো। গতকাল এমপি মনিরুল ইসলামের (যশোর-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণ বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ জনের এটি ইন্টার্ন দল সেদেশে গিয়েছে। দ্বিতীয় ব্যাচে ১৫ জনকে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন।