Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কানাডায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সহায়ক ওয়েবসাইট

বিভিন্ন অসাধু কনসালটেন্সি ফার্ম কিংবা দালালদের হাত থেকে কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুক্তি দিতে কাজ করছে একদল তরুণ। তাদের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে বাংলাভাষার ওয়েবসাইট ‘ইমিগ্রেশনঅ্যান্ডসেটেলমেন্টডটওআরজি (immigrationandsettlement.org)’।

chardike-ad

অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’ এর উদ্যোগে এই ওয়েবসাইটটিতে কানাডা’র ইমিগ্রেশন প্রসেসিংয়ের খুঁটিনাটি বিষয় বাংলা ভাষায় সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের অন্যতম মেহমুদ উজ জামান এবং সাদিয়া রহমান স্বাতী বর্তমানে কানাডার স্থায়ী অভিবাসী। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা জানান, ২০১৬ সালে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’ নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু। মূলত যারা কানাডায় অভিবাসী হয়ে আসতে চান এবং যারা নতুন অভিবাসী হিসেবে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস শুরু করেছেন, তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্যগত সহযোগিতা প্রদানের জন্যই পেজটি খোলা হয়। ধীরে ধীরে এ কলেবর বাড়ছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

মেহমুদ উজ জামান জানান, ওয়েবসাইটি কানাডায় ইমিগ্রেশন এবং সেটেলমেন্ট বিষয়ক বিনামূল্যে তথ্যগত সাহায্য গ্রহণের নতুন এক মাইলফলক। ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’-এর স্বেচ্ছাসেবীগণ স্বপ্রণোদিতভাবে চান যেন বাংলা ভাষাভাষীরা অপার সম্ভাবনাময় কানাডায় অভিবাসী হিসেবে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে আরও মজবুত করতে পারেন।

হঠাৎ এমন উদ্যোগ গ্রহণের কারণ কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর আসে কিছু অদক্ষ কনসালট্যান্সি ফার্ম আর তথাকথিত দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ান অনেকেই। আসলে যারা কানাডায় অভিবাসন নিতে চান তাদের সহায়তার জন্যই এই উদ্যোগ। এখানে কানাডিয়ান অভিবাসন বিষয়ক কোন আইনজীবী কিংবা কানাডিয়ান অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কোনও প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। তবে এখানে যা লেখা হয়েছে সবই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে।

এই ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে ভলান্টিয়ারদের সহায়তায় যে কেউ চাইলেই দালালদের খপ্পর ছাড়াই নিজে নিজে কানাডার অভবাসী হতে পারেন। এরই মধ্যে অনেকেই কানাডায় বসবাসও করছেন বলে জানালেন এ উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন কারও ব্যক্তি সম্পত্তি নয়, বরং এটি প্রত্যেকের অধিকার এবং অপার সম্ভাবনার দেশ কানাডা’য় আসতে হলে এই ইমিগ্রেশনের কাজগুলো করার জন্যে একজন শিক্ষিত ব্যক্তির কোন তথাকথিত কনসালট্যান্টের শরণাপন্ন হবার বিন্দুমাত্র দরকার নেই। ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’ টিমের সহজবোধ্য ওয়েবসাইট, ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল আর একঝাঁক ভলান্টিয়ারের নিরলস সহযোগিতায় প্রত্যেকেই তার নিজের ইমিগ্রেশন নিজে করতে সক্ষম।’

তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষাভাষীদের জন্যে কানাডা’র ইমিগ্রেশন এবং সেটেলমেন্ট নিয়ে এ রকম তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট আর আছে কিনা আমার জানা নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীর ভলান্টিয়ার মানুষগুলো প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন কানাডা’র ইমিগ্রেশন এবং সেটেলমেন্ট প্রত্যাশীদেরকে তথ্যগত সহযোগিতা করার জন্যে। একই সাথে স্বেচ্ছাসেবীদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সেটেলমেন্ট’ টিমের ভলান্টিয়ারগণ সচেষ্ট।’