Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাশ্মিরে ভারতীয় চার পুলিশ কর্তক মুসলিম শিশুকে ধর্ষণ

asifa-rapedকাশ্মিরে ৮ বছরের এক মুসলিম শিশুকে মন্দিরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করেছে ভারতের আদালত। এছাড়া মধ্য জানুয়ারির ওই ঘটনায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাও অভিযুক্ত হয়েছেন।

গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্র জনসম্মুখে আনা হলে আবারও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মির। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট-সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে ‌এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।

chardike-ad

সংবাদমাধ্যম গ্রেটার কাশ্মির ও রাইজিং কাশ্মির জানায়, সেখানকার মুসলিমদের অন্যতম শীর্ষ নেতা সাইয়্যেদ হাসান আল মুসাভী এক বিক্ষোভ সমাবেশে ভারত সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কাশ্মিরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু আমাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবেন।

কাঠুয়া অঞ্চলের যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর মেয়ে ছিল আসিফা বানু। কাঠুয়া উপত্যকায় ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় তাকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যের প্রতি ওই শিশুকে অপহরণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর মন্দিরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে।

আসিফা বানুর দেহ পড়ে ছিলো মন্দির সংলগ্ন ঝোপের আড়ালে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের একজন সরাসরি ধর্ষণে জড়িত। অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা আনন্দ দত্ত দায়ীদের বাঁচাতে ৬০০০ ভারতীয় রূপি ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা আছে। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, আনন্দ দত্ত ঘটনার আলামত নিশ্চিহ্ন করতে ঘটনার সময় আসিফার পড়নে থাকা কাপড় খুলে তা ধুয়ে ফেলে। মুছে ফেলে রক্তের দাগ। অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে এ ঘটনায় আটক আটজনের একজন তিনি।