Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খাবারে ঢুকে পড়ছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ

plastic
বাংলাদেশে ২০১৪ সালেই দিনে কমপক্ষে ২৭০০০ টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হতো। ব্যবহার বছরে বছরে বাড়ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড: আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন।

বিবিসিকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র-কণা দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রসাধন সামগ্রীতে। সিউয়ারেজ হয়ে জলাভূমিতে গিয়ে পড়ায় মাছ তা খাচ্ছে। তারপর মাছের মাধ্যমে তা মানুষের ফুড-চেইনে ঢুকে পড়েছে।

chardike-ad

তিনি বলেন, এতদিন উদ্বেগ ছিল পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র্যের ওপর প্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে, কিন্তু এখন স্বাস্থ্যের ক্ষতি বিশেষ করে ভাবিয়ে তুলছে।

১৯৯০ সালে যেখানে দিনে ৬ হাজার ৫০০ টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হতো, সেখানে মাত্র নয় বছর পর ২০১৪ সালে তা দাঁড়ায় ২৭ হাজার টনে। তিনি বলেন, এ হার চলতে থাকলে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার দাঁড়াবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টন। এই চিত্র খুবই বিপজ্জনক।

cosmetics
কসমেটিক্সে ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা যা খাল নদীতে গিয়ে মাছের মাধ্যমে ফুড চেইনে ঢুকে পড়ছে

শপিং ব্যাগের পাশাপাশি আসবাব, গৃহস্থালি এবং বাণিজ্যিক কাজে বল্গাহীনভাবে বাড়ছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়।

কিন্তু ড. মজুমদার বলেন, সেই আইনের তোয়াক্কা আর কেউ এখন করছে না। তিনি হিসাব দেন, বাংলাদেশে এখন দিনে ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে।

তার মতে, প্রথম দুই-তিন বছর সরকারি কর্তৃপক্ষ, পুলিশ খুবই তৎপর ছিল। প্রায়ই বাজারে বাজারে অভিযান হতো, কিন্তু তারপর তা ধরে রাখা যায়নি…উপযোগী তেমন বিকল্প বের না হওয়ায় মানুষও পলিথিন ব্যবহার শুরু করে দেয়। পলিথিনের বিকল্প হিসাবে টিস্যু ব্যাগ নামে যে ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয় সেটার উপাদানও মূলত প্লাস্টিক। পলিথিন ব্যাগের পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি টিস্যু-ব্যাগ ব্যবহার হয়।

সূত্র: বিবিসি