Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

isha-Ambaniকথায় বলে যমজ সন্তানদের নাকি একসঙ্গে খিদে পায়, একসঙ্গে কান্না পায়, একসঙ্গে হাসিও পায়। সেই রীতি মানলে বিয়েটাই বা বাদ যায় কেন! তাই মেয়ে প্রেম প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হল যমজ দাদার বিয়ের মাসেই। আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাই আকাশের বিয়ের আগেই গাঁটছড়া বাঁধবেন ইশা। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরেই হতে চলেছে এ বিয়ে।।

ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির ছেলে আকাশের বিয়ে বাল্যবন্ধু শ্লোকা মেহতার সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে, এখবর ইতিমধ্যে আম্বানি পরিবার থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়ায় জাঁকজমক করে দুইজনের বাগদান পর্বও সম্পন্ন। আর রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হল, আকাশের যমজ বোন ইশার বিয়ে ঠিক হয়েছে ডিসেম্বর মাসে। যমজ ভাইবোনের বিয়ে এক মাসে।

chardike-ad

পিরামল গোষ্ঠীর সঙ্গে আম্বানি পরিবারের সম্পর্ক চার দশকের পুরনো। ব্যবসায়িক গণ্ডি তা ছাড়িয়েছিল অনেক আগেই। এবার সেই সম্পর্ক পারিবারিক হতে চলেছে। স্বাতী ও অজয় পিরামলের ছেলে আনন্দের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন ইশা। আকাশ-শ্লোকার মতো তাঁদের সম্পর্কটাও বেশ পুরনো। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মহাবালেশ্বরের এক মন্দিরে ইশাকে প্রেম নিবেদন করেন আনন্দ। আর ইশা তা গ্রহণ করতেই খুশির হাওয়া দুই পরিবারে। জমকালো করে তা উদযাপনও করা হয়েছে যৌথভাবে। উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সব সদস্য। সেখানেই বিয়ের মাস ঠিক হয়।

পাত্র-পাত্রীর বায়োডেটাও চোখে তাক লাগানোর মতো। আন্তর্জাতিক সংস্থা পিরামল গ্রুপের পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি, পিরামল রিয়েলটির প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ। তবে তার আগে পিরামল স্বাস্থ্য প্রকল্পের ব্যাপক জনপ্রিয়তায় খ্যাতির শিখরে ওঠেন পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিকে স্নাতক এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এমবিএ আনন্দ। জনপ্রিয়তা এতটাই যে, ইন্ডিয়ান মার্চেন্ট চেম্বারের যুব শাখার সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তাঁকে। আর ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ব এবং সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে স্নাতক ইশা বর্তমানে রিলায়েন্স জিও এবং রিলায়েন্স রিটেলের বোর্ড সদস্য। পাশাপাশি স্ট্যান্ডফোর্ডের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে চলতি বছরে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করতে চলেছেন তিনি।

তবে উদ্যোগপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পিছনে যে মুকেশ আম্বানিই রয়েছেন, তা অকপটে স্বীকার করেছেন আনন্দ। ক্যারিয়ার সম্পর্কে তাঁকে মুকেশের পরামর্শ ছিল, ‘ক্রিকেট নিয়ে বক্তব্য রাখলেই ক্রিকেটার হওয়া যায় না। তার জন্য প্রয়োজন মাঠে নেমে খেলা।’ সেই পরামর্শ মেনেই আজ আনন্দের সফল উত্তরণ।