তিনি জানান, দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক গোপন সূত্রে প্রকৌশলীর ঘুষ নেওয়ার খবর পান। তাদের কাছে তথ্য আসে, প্রকৌশলী শামসুল শাহরিয়ার ভূঁইয়া বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে ঠিকাদারি কাজের জন্য চেক ইস্যু করে ঘুষ বাবদ ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন।
দুদকের সূত্র জানতে পারে, শাহরিয়ার ভূঁইয়া তাঁর অফিসের তিনতলার একটি কক্ষে বসবাস করেন এবং টাকাগুলো ওই কক্ষেই রয়েছে। পটুয়াখালীর দুদক কর্মকর্তারা ঢাকায় কমিশনকে জানালে সব বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক দুদক পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করে। দলটিকে ওই প্রকৌশলীর অফিস ও বাসা তল্লাশি করে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার অনুমতি দেয়। সার্বিকভাবে অভিযান তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে।
সব প্রক্রিয়া শেষে বেলা পৌনে তিনটায় দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমানের উপস্থিতিতে অভিযান চালায়। বরগুনা জেলার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শামসুল শাহরিয়ার ভূঁইয়ার অফিস এবং বাসকক্ষ তল্লাশি করে ঘুষের ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে।