Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্রিকেটের এক অদ্ভুত আইনের শিকার বাংলাদেশ

mushfiqur
মুশফিকের সেই রিভার্স সুইপ নিয়েই হারের পর যত আলোচনা

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার) স্বাগতিক উইন্ডিজের কাছে ৩ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। জয়ের আশা জাগিয়েও শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

ম্যাচ শেষে কাঠগড়ায় বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং আর শেষদিকের এই ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে সেই সাথে আসামীর আসনে আছে আরও একটি বিষয়। সেটি ডিআরএস নিয়ে আইসিসির একটি নিয়ম।

chardike-ad

আইসিসির নিয়ম বা আইন অনুযায়ী, কোনো ডেলিভারিতে আম্পায়ার উইকেটের সংকেত দিলে এবং রিভিউ নিয়ে ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেলেও ঐ ডেলিভারিতে ব্যাটিং দলের পক্ষে কোনো রান যোগ হবে না। কেননা আউটের সিগন্যাল পাওয়া বলটি হিসেব করা হবে ‘ডেড’ বলে, যদিও হিসেবে গণ্য করা হবে বলের সংখ্যা।

বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৩তম ওভারে বোলার দেবেন্দ্র বিশুর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের ধোঁয়াশায় ফেলে দেন মুশফিক। বল মুশফিকের প্যাডে লেগেছে- এমনটি মনে হওয়ায় বোলার-ফোল্ডাররা আউটে আবেদন জানান। আউট মনে করে তর্জনী উঁচিয়ে আম্পায়ারও দেন মুশফিকের বিদায়ের সংকেত।

কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সম্মতি ছিল না মুশফিকের। রিভিউ নিলে দেখা যায়, আসলেই আউট হননি মুশফিক। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

তবে এ নিয়েই বিতর্ক দানা বাঁধে ম্যাচ শেষে। এর কারণ, ঐ বলে মুশফিকের ব্যাটের কানায় লাগা বল (দেখে মনে হয়েছিল প্যাডে লেগেছে) উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। আম্পায়ার আউটের ভুল সিদ্ধান্তটি না দিলে বাংলাদেশের এক্ষেত্রে চার রান যোগ হত। আর বাংলাদেশ যে ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে (৩ রান), তা এই ৪ রানের চেয়েও কম।

ম্যাচ শেষে তাই সমালোচনা চলছে এ নিয়ে। ক্রিকেট বোদ্ধাদের দাবি, আম্পায়ার ঐ ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে বাংলাদেশের ইনিংসে যোগ হত আরও চারটি রান, যা দূর করতে পারত পরাজয়ের আক্ষেপ।