অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। রাত পোহালেই বাংলার মাটিতে নামবে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’। রোববার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার। এ নিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫টি। দেশে পৌঁছানোর পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে।
গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর বিকেলে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট হিসেবে ভাগ্যবান ২৭১ যাত্রী নিয়ে উড়বে কুয়ালামপুরের উদ্দেশে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে।
ইতোমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি উড়োজাহাজ-ই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাবে বিমানটি। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
আকাশবীণায় আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধা পাবেন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ