Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না পাকিস্তান

india-pkভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনায় ঠাসা মুহূর্ত। এশিয়া কাপে যখন দুই দল আরো একবার মুখোমুখি হলো, সে রকম সময়েরই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা। কিন্তু এ কী! ম্যাচটা যে শেষ হলো একেবারে নিষ্প্রাণভাবে। কারণ পাকিস্তান একেবারে দাঁড়াতেই পারলো না ভারতের সামনে।

দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। ফলে এশিয়া কাপে ভারতের পক্ষে পাকিস্তানকে হারানো কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছিলো। ২০০৯ সালের পর থেকে আরব আমিরাতই যে পাকিস্তানের হোম ভেন্যু। ফলে এই মনে করাকে একেবারে অযৌক্তিক বলার সুযোগ ছিলো না।

chardike-ad

কিন্তু মূল লড়াইয়ে এসে দেখা গেলো, পাকিস্তান স্রেফ গুলিয়ে ফেললো সব পরিকল্পনা। দুবাইয়ের গ্যালারিতে পাকিস্তানি সমর্থকদের দেখা গেলো খেলা বাদ দিয়ে স্মার্টফোনে মুখ ডুবিয়ে রাখতে।

অথচ টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের পাহাড়ে ভারতকে চাপা দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের। কিন্তু তার পরিকল্পনাটা গিলতে পারেননি পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান।

মাত্র ১০ ওয়ানডে খেলেই ইমাম হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা। অন্য দিকে ফখর জামান গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে হয়েছেন নতুন সেনসেশন। এ দুজনের মিলিত ওপেনিং জুটির কাছে তাই অসাধারণ কিছুর প্রত্যাশা ছিলো পাকিস্তানের। সেটা অবশ্য সব সময়ই থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ভারত, প্রত্যাশার পারদ তখন ছিলো বেশ উঁচুতে। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ দূরে থাক, চেষ্টাটাই করতে পারেননি তারা।

india-pakistanজাসপ্রিট বুমরাহর একটা ওভার মেডেন যাওয়ার পরই ইমামকে দেখা যায় অস্থির হয়ে উঠতে। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র দুই রানের পুঁজি রেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ভুবনেশ্বর কুমারকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে কটবিহাইন্ড হন ইমাম। এক রান যোগ করে বিদায় নেন ফখর জামানও।

তিন নম্বর উইকেটে ৮২ রান যোগ করে পাকিস্তানকে টেনে তুলেন শোয়েব মালিক ও বাবর আজম। কিন্তু তাদের ইনিংস মেরামতের কাজ বৃথা যায় পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিদারুণ ব্যর্থতায়। মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। কেদার যাদবও নেন তিন উইকেট। জাসপ্রিট বুমরাহ শিকার করেন দুটি।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের যে শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা, তা একেবারে নাই হয়ে যায় ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেই। অনিশ্চয়তার উপর ভর করে তারপরও যেটুকু উত্তেজনা পাকিস্তানের সমর্থকরা মনে পুষে রেখেছিলেন, সেটুকুও কর্পুরের মতো হাওয়ায় মিলিয়ে যায় ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙতেই।

রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান যোগ করেন ৮৬ রান। ভারতের জয় তখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। ৫২ রান করে রোহিত ও ৪৬ রান করে ধাওয়ানের বিদায়ের পরও ভারতের জয়ের পথে পাকিস্তান সে রকম কোনো বাধা দাঁড় করাতে পারেনি। আট উইকেট হাতে রেখে ভারত ম্যাচ জিতে নেয়।

বড় আসরে ভারতের সাথে পাকিস্তান পারে না; প্রায় চিরন্তন সত্য হয়ে উঠা এই বাক্য দারুণ অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলো গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এশিয়া কাপের প্রথম মোকাবেলায় ভারতের কাছে হেরে সেই ম্যাচকে ‘ব্যতিক্রম’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করে দিলো পাকিস্তান। এশিয়া কাপে আরো অন্তত একবার দেখা হবে দুই দেশের। তখন কি আবার বাক্যটার সত্যতাকে হুমকির মুখে ফেলবে পাকিস্তান? দেখা যাক কী হয়!