Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সাড়ে ২৫ হাজার

fake-freedom-fighterমুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচয় দেয়া আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো নির্ভুল তালিকা করতে পারেনি। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি নেয়া প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণও করেনি।

মন্ত্রণালয় সূত্র এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য থেকে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় ২২ হাজার এবং বর্তমান সরকারের প্রথম দফায় সাড়ে ১১ হাজার মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছে। এই ৩৩ হাজার হাজারকে এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি সরকার। তবে বিষয়টিকে নিজের ব্যর্থতা বলেই স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।

chardike-ad

তবে মোজাম্মেল হক দাবি করেছেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনি আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছেন। সে হিসেবে এখনো সাড়ে ২৫ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তবে দেশে শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে মন্ত্রীর দেয়া এই আট হাজার ভুয়া সনদধারী মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। গেজেট শাখার কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছে, চার হাজারের মতো গেজেট বাতিল হলেও, তাদের বেশির ভাগ আদালতের আদেশ এনেছেন।’

ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী- মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে তিন বছর জেল এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করলে সাত বছরের জেলের শাস্তি আছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা সব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে পারিনি বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে কোনো অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা করিনি।’

২০১৪ সালে সরকারের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রমাণিত হয়। এ অভিযোগে সে বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদারের সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

সাবেক সচিব এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের সনদও বাতিল করা হয়। এ ছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।