Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেকারনে বিমানে যাত্রীরা ওঠার সময় দরজায় দাঁড়ান কেবিন ক্রু

cabin-crewযেকোনও ফ্লাইটের শুরুতে কেবিন ক্রু সদস্যরা যাত্রীদের স্বাগত জানান। এর পাশাপাশি প্রত্যেক যাত্রীর বোর্ডিং পাস দেখে তার আসন কোথায় তা দেখিয়ে দেন তারা। শুধু এজন্যই তারা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন, ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। একইসঙ্গে শারীরিক বৈশিষ্ট্য ভালো এমন যাত্রীদের নজরে রাখেন ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টরা। একজন বিমানবালা এই তথ্য জানিয়েছেন।

ঘন ঘন বিমানে যাতায়াত করলে দেখা যাবে, যাত্রীরা হেঁটে হেঁটে বিমানে ওঠার সময় অন্তত একজন হলেও কেবিন ক্রু দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। আপাতদৃষ্টিতে যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানো ও আসন খুঁজে পেতে সহায়তাই তাদের উদ্দেশ্য মনে হতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে ফ্লাইটের নিরাপত্তা বজায়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কেবিন ক্রু সদস্যরা মূলত বিমানে ওঠা সব যাত্রীকে পরখ করে নেয়।

chardike-ad

মার্কিন প্রশ্নোত্তরের সামাজিক ওয়েবসাইট কুরা ব্যবহারকারীদের কাছে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট জানান, যাত্রীদের মধ্যে যারা দেখতে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী তাদের দিকেই নজর রাখেন বিমানবালারা। বিমানে পেশীবহুল শক্তিশালী মানুষ থাকার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছেন ২৭ বছর ধরে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্ট হিসেবে কাজ করা জেনিস ব্রিজার। তিনি বলেছেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে কাউকে পেশীবহুল, শক্তিশালী ও শারীরিকভাবে ফিট মনে হলে বিমানবালারা তার বা তাদের চেহারা ও তারা কোথায় বসেছে তা মনে রাখেন। তবে ব্যক্তিগত কোনও কারণে নয়, ফ্লাইট চলাকালীন কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম হলে ওই শক্তিশালী ব্যক্তিদের সহায় ধরে নেন বিমানবালারা। বিমানের অভ্যন্তরে যদি হামলা হয় তাহলে এই মানুষগুলোর কাছেই সহযোগিতার জন্য যান তারা।’

জেনিস ব্রিজার আরও জানান, পরিস্থিতি প্রতিকূল হবে বুঝলে বিমানবালারা বিচক্ষণতার সঙ্গে আলাদাভাবে গিয়ে ওই মানুষগুলোর মধ্যে একজনের কাছে যান। প্রয়োজন পড়লে সহযোগিতা করবেন কিনা তা জানতে চেয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয় তাকে। বিমানে হামলার ঘটনা কেউই প্রত্যাশা করে না। তবে সতর্কতা হিসেবে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অবশ্য চেহারা বা শারীরিক কাঠামো দেখে যাত্রীদের মূল্যায়ন করা সবসময় ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। দরজায় দাঁড়িয়ে বিমানবালাদের এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের আরেকটি অংশ হলো, কেউ মাতাল কিনা তা পরখ করা। কেবিন ক্রু সদস্যরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে মাতাল যেকোনও যাত্রীকে বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।

এছাড়া কোনও যাত্রী অসুস্থ কিনা তাও দরজায় দাঁড়িয়ে পরখ করে দেখেন বিমানবালারা। রোগী থাকলে ফ্লাইটে জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন কাউকে বিপজ্জনক মনে হলে বিমানে উঠতে বাধা দেন তারা।