Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চীনের অর্থনীতিতে তিন দশকের মধ্যে রেকর্ড পতন

chinaবিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে গেল বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ। যা দেশটির ইতিহাসে গত ২৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আরও বেশ কিছু অর্থনৈতিক বিষয়ের পূর্বাভাসসহ সোমবার সরকারিভাবে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে দেশটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে চীন যে অর্থনৈতিক পতনের মুখে পড়ে সেটা মূলত হয়েছে বছরের তৃতীয় পক্ষিকে। কেননা গত বছরের জুলাইয়ে শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দেশটি।

chardike-ad

চীনের অর্থনীতির এই রেকর্ড মন্থর গতির পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইফোন প্রস্তুতকারক অ্যাপল, ইউরোপের গাড়ি প্রস্তুতকাক প্রতিষ্ঠান আর অস্ট্রেলিয়ার খনিজ রফতানিকারক বিভিন্ন কোম্পানি। পাল্টা-পাল্টি শুল্কারোপের মধ্য দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ দুটির মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেইজিংকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধি ও ঋণের পরিমাণের মধ্যে তারতম্য আনতে হবে। তা না হলে তাদের এই অর্থনৈতিক অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হবে। তবে আশা বিষয় হলো, গত বছর জি-২০ সম্মেলনে দুই পক্ষই সাময়িক যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিঙ্গাপুরের মিজুহো ব্যাংকের এশিয়া কৌশল বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ বিষ্ণু বারাথান আলজাজিরাকে বলেন, ‘৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে নেমে আসাটা খুবই দ্রুত হয়েছে যা উদ্বেগজনক। চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে তারা এই হুমকির মুকে পড়েছে। তাছাড়া দেশটির অর্থনীতির প্রধান খাত প্রযুক্তি পণ্য কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধিও নিচে নামছে।’

তবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির এত দুঃসংবাদের মাঝেও একটি আশার সংবাদ আছে। দেশটির শিল্প পণ্য উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরে শিল্প পণ্য উৎপাদন আশা করা হয়েছিল যে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হবে কিন্ত সেটা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

চলতি মাসের ৩০ জানুয়ারি বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে পুনরায় ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীনের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপক করলে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।