Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বাংলাদেশের কড়া তিরস্কারে ভুল স্বীকার করল মিয়ানমার

sain-martineবাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ফের নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে মানচিত্রে দেখিয়েছে মিয়ানমার। এর প্রতিবাদে মিয়ানমারের ঢাকা মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মিয়ানমারও ভুল স্বীকার করে জানিয়েছে, এ ভুল আর কখনও হবে না। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, মিয়ানমারের সরকারি একটি ওয়েবসাইটে ফের সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু রাষ্ট্রদূত ঢাকার বাইরে থাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হতে বলা হয় মিয়ানমারের ঢাকা মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অং খোয়া’কে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হন। এসময় মিয়ানমারের ঢাকা মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের কাছে ঢাকার পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদপত্র তুলে দেওয়া হয়। সেন্টমার্টিন ইস্যুতে মিয়ানমার কেন বারবার ভুল করছে, সে বিষয়েও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় কূটনৈতিক ওই চিঠিতে।

chardike-ad

পরে মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বের হন অং খোয়া। এসময় তার কাছে সাক্ষাতের বিষয়বস্তু ও সেন্টমার্টিন ইস্যুতে মিয়ানমারের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অং খোয়া বলেন, তিনি ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নন, ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছেন। সে কারণে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখানোর ঘটনায় মিয়ানমার ভুল স্বীকার করেছে। এ কারণেই তাকে (অং খোয়া) তলব করা হয়েছিল। তিনি এখানে থাকা অবস্থাতেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন। আর মানচিত্রের এই ভুলটি যত দ্রুতসম্ভব ঠিক করা হবে। তারা এই ইস্যুতে আর কখনও এমন ভুল করবে না।

এর আগে গত বছরও মিয়ানমারের জনসংখ্যাবিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে তাদের মানচিত্রে দেখানো হয়। সে সময়ও মিয়ানমারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মিয়ানমার তখন জানিয়েছিল, তারা দেশের মানচিত্র তৈরির কাজ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়েছে।