সাগরপথে পাচারের চেষ্টাকালে টেকনাফ উপকূল থেকে ২৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ পুরুষ, ১৬ নারী এবং ৮ জন শিশু রয়েছে। এরা উখিয়ার কুতুপালং, জামতলী, থাইংখালী, বালুখালী, টেকনাফের মোচনী, লেদা ও শামলাপুর এলাকার রোহিঙ্গা শিবিরে বাস করছিলেন। বুধবার ও মঙ্গলবার ভোররাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় দালালচক্রের কাউকে আটক করা যায়নি।
বুধবার টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ভোরে মানবপাচার চক্র কিছু রােহিঙ্গা নাগরিককে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য টেকনাফের মহেষখালীয়াপাড়া এলাকায় জমায়েত করে। এমন সংবাদে রাতেই সাবরাং বিওপির হাবিলদার মো. আবুল কালামের নেতৃত্বে টহলদল টেকনাফের মহেষখালীয়াপাড়া সাগরপাড়ে নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকা ১৩ রােহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে। এতে ২ পুরুষ, ৯ নারী এবং ২ শিশু ভিকটিম ছিল।
এছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে সাবরাং খুরের মুখ কাটাবনিয়া খালের মুখ সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মানবপাচারের সংবাদে অভিযান চালিয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষমান ১৪ জন রােহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এতে ১ পুরুষ, ৭ নারী এবং ৬ শিশু ভিকটিম রয়েছে।
উদ্ধার করা রােহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রােহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পাচারকারী দালালদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিল। নৌকা বা ট্রলারযোগে পাচার করতে রোহিঙ্গাদের সাগরপাড়ে জড়ো করা হয়। তবে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার চক্রে জড়িত দালালদের আটকের বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, উদ্ধার ভিকটিম রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং তিন পুরুষকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ