ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট খোঁজে এবং সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা আমাদের কাছে পরামর্শ চায়- এটা কেমন করে করা উচিত, ওইটা কেমন করে করা উচিত।’ তিনি আরও বলেছেন, এইবার বোধহয় দেখেছি, সারাবিশ্বের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীদের খুঁজে বেড়ায়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিপিও খাতকে একটি শ্রেষ্ঠতম উপায় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষা, স্কুল কিংবা মাদরাসায় শিক্ষাগ্রহণ করে থাকুক না কেন, বিপিও খাতে ৪৮০ প্রকারের কাজ আছে। কোনো না কোনো কাজের জন্য আমি তাকে যোগ্য করে তুলতে পারব। ’
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করে ডিজিটাল দক্ষতা প্রদান করতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশের অবকাঠামো ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসছে।
তিনি যোগ করেন, ‘এই কথাটি একটু গর্ব করেই বলতে পারি, বাংলাদেশকে সম্মান দেয়ার মতো সময় এখন বিশ্ববাসী অনুভব করে। এখন ডিজিটাল বিপ্লবের কথা বলা হচ্ছে। এখন বাংলাদেশের যে জায়গাটি সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে, আমি অন্তত ২০১৮ ও ২০১৯ সালের গল্প করতে পারি।’
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, এটুকু আমি বিশ্বাসের সঙ্গে করব। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যেখানে মোস্তাফা জব্বার ও জুনাইদ আহমেদ পলকের মতো লোক আছেন সেখানে আমার বোঝার প্রয়োজন নেই। তারা যখন যে কাজ আমাকে বলবেন, সেই কাজেই যথাসাধ্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন,‘আমাদের মধ্যে সেই সৌহার্দ, সেই ভ্রাতৃত্ব, সেই বন্ধুত্বের বন্ধন আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা বিশাল কাজ করছি। সেই কাজে প্রান্তিক হলেও আমি যদি অংশ নিতে পারি, নিজেকে ধন্য মনে করব।’
‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দু’দিনব্যাপী এই সামিট সোমবার রাত ৯টায় শেষ হয়েছে।
সৌজন্যে- যুগান্তর