Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

probashiঘরে তার ১৩ ও ৮ বছরের দুই পুত্র সন্তান। স্বামী থাকেন প্রবাসে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা সৌদী প্রবাসী স্বামী আলী হোসেন তার আয়ের সবটুকু দেশে পাঠাতো স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার পলির কাছে। লক্ষীপুর জেলার রায়পুর থানার মধুপুর গ্রামের আবু ইউসুফের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার পলি তার স্বামী আলী হোসেন প্রবাসে থাকার সুবাধে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তোলে সিলেটের জালালবাদ থানার আখালিয়া জৈগিপাড়া গ্রামের মুক্তার আহমেদের ছেলে সালেহ আহমেদ পলাশের সাথে।

দিন যায় মাস যায় তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে। পলি একসময় সিদ্ধান্ত নেয় তার প্রেমিকে কাছে চলে যাবে। কথা অনুযায়ী বাসার স্বর্ণালঙ্কার আসবাপত্র এমনকি ঘরের ফ্রিজটাও ট্রাকে ভরে নিয়ে চলে যায় সিলেটের প্রেমিকের কাছে।

chardike-ad

খবর পেয়ে সৌদী থেকে ফিরে এসে আলী হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সিলেট থেকে পলি ও তার পরকীয়া প্রেমিক পলাশকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। সাথে ট্রাক ভর্তিকরে আসবাব পত্রও উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

সৌদী প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ আলী হোসেন জানায়, ২৫ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে ব্যবসা করছেন। ১৬-১৭ বছর পূর্বে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাদের সংসার ভালভাবেই চলছিল। তাদের ১৩ ও ৮ বছরের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় তার অনুপস্থিতিতে ফেইসবুকে সিলেটের সালেহ আহমেদ পলাশের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে দুজনে যোগসাজসে ৫ লাখ মূল্যের ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নিত্য ব্যবহার্য ইলেক্ট্রিক পণ্য, ফ্রীজ, এসি, আসবাবপত্রসহ ৮ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সাথে সিলেট চলে যায়। খবর পেয়ে সৌদী প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ আলী হোসেন দেশে ফিরে ১৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন মেজর টিলার কে. কে. গার্ডেন থেকে আসামীদের গ্রেফতার ও চুরিকৃত মালামাল জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।