Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার ২

fruadদামি স্যুট-প্যান্ট পরে ঘোরেন, খাবার খান নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টে। কেনাকাটা করতে গেলেই দোকানের কর্মচারীদের বকশিস দেন হাজার হাজার টাকা। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী বলেই পরিচয় দিতেন আলতাফ হোসেন। যুক্তরাষ্ট্রে কথিত ভেলা অ্যাসোসিয়েটস নামে কোম্পানি এবং নিজস্ব বেসামরিক বিমান সংস্থায় লোক নিয়োগের নামে ১২ জনের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাতের পর বেরিয়ে আসে তার আসল পরিচয়। আদতে তিনি কখনো যুক্তরাষ্ট্রেই যাননি। তবে কথা-বার্তা আর চলাফেরায় বোঝার উপায় নেই তিনি মাত্র এইচএসসি পাস করা এক ধূর্ত, প্রতারক চক্রের দলনেতা।

গত ২০ জানুয়ারি রাজধানীর কোতয়ালী থানায় শামীম বাশার নামে এক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ওই মামলায় বুধবার বাড্ডার সাতারকুল থেকে আলতাফ হোসেন (৪৮) ও তার সহযোগী শরিফুল ইসলামকে (৫৮) গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় সিআইডি। প্রতারক আলতাফ এইচএসসি পাস। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঠান পাড়ায়। অন্যদিকে এইট পাস শরিফুল ইসলামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা বালিয়াকান্দি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার আলতাফ হোসেন নিজেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বলে পরিচয় দিতেন। প্রবাসী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এবং রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের পরিচয় দিতেন তিনি। চলাফেরা চাকচিক্যময়। নামিদামি পোষাক পরে হোটেলে বসে মিটিং করতেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা বলে হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা।

fruadমো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি গাজীপুরে মায়ের নামে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারা জাস্টিস বৃদ্ধাশ্রম তৈরির জন্য বিভিন্ন ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ লাখ টাকাও নেন। যুক্তরাষ্ট্রে তার কথিত প্রতিষ্ঠানে, মসজিদে ও নিজস্ব বেসামরিক বিমান সংস্থায় এবং বেনামি ভেলা অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানিতে লোক নিয়োগের জন্য দেশে এসেছেন বলে প্রচার করেন। তার সহযোগীরা প্রলুব্ধ করে শুধু মাত্র ১২ জনের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও চার জনের পরিচয় জানা গেছে। এ চক্রে ১২ সদস্য রয়েছে। তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি অর্ধশত ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একটি মামলায় গ্রেফতারের পর সারাদেশ থেকে সিআইডি কার্যালয়ে যোগাযোগ করে টাকা আত্মসাতের তথ্য জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

সিআইডি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি নেয়া হবে। আদালতে সোপর্দ করে আলতাফ ও শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক কত টাকা আত্মসাৎ করেছেন তা বেরিয়ে আসবে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email