মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী দুটি বিমানবন্দরে আবারো ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। তবে আঘাত হানার আগেই হুথিদের ছোড়া ওই ড্রোনে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট।
এক বিবৃতিতে আরব জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালিকি বলেছেন, ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে সৌদি আরব লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি গোষ্ঠী। তবে সেটি সৌদিতে আঘাত হানার আগেই সামরিক জোটের সদস্যরা ইয়েমেনের আকাশে থেকেই ভূপাতিত করেছে।
তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি বলছে, সানা থেকে ছোড়া ড্রোন সৌদি আরবে আঘাত হেনেছে। যদিও আল-মালিকি হুথিদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবের আকাশে প্রবেশের আগেই ড্রোনটিকে মাটিতে নামানো হয়েছে।
এদিকে, হুথি বলছে, তারা কাসেফ-২কে ড্রোন ব্যবহার করে সৌদি আরবের আভা ও জিজান বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী এ দুই টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে সেই ড্রোন।
হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, হামলার পর এ দুই বিমানবন্দরের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনা লক্ষ্য করে বেপরোয়া হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে আল-মালিকি। তবে তিনি বলেছেন, সামরিক জোট তাদের এই হামলা ঠেকাবে। এর আগে রোববার সকালের দিকে ইয়েমেনি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীূ ঘোষণা দেয়, তারা সৌদির আভা এবং জিজান বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন প্রদেশে সম্প্রতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়াইরত হুথি বিদ্রোহীরা। ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথি। তারপর থেকেই দেশের বাইরে তিনি। হাদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদসহ দেশটির আরো কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথিরা। গত মে মাসের শেষ দিকে পবিত্র নগরী মক্কা ও জেদ্দায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রায় একই সময় সৌদির নাজরান বিমানবন্দরে তিনবার হামলা চালানোর দাবি করে হুথি। ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী বলছে, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে।