lawভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করার অভিযোগের মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জিন্নাহসহ তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এম এ রবকে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার (২২ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।

সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জিন্নাহ, সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক মো. হারুন অর রশিদ ও সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক মীর আবু সাঈদ তাইফুদ্দিন চৌধুরী। পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

chardike-ad

মামলার অপর আসামি ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এম এ রবকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাগারে থাকতে হবে তাকে।

রায় ঘোষণার আগে মামলার আসামি হারুন অর রশিদ ছাড়া তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অপরদিকে হারুন অর রশিদ আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের জুলাই থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশ ভ্রমণ শেষে টিএ/ডিএ বিল উত্তোলনের পর একই ভ্রমণের অনুমতিপত্র ফটোকপি করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কার্বন কপিতে কাটাকাটি করে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করেন। এভাবে ১৬৬টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সাবেক ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার অ্যাকাউন্টস অফিসার মীর আজিজুর রহমান মামলার বিচারকাজ চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে আসামি থেকে বাদ দেয়া হয়। মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।