Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসে যেমন কাটলো শাবনুরের ঈদ

shabnurএখন আর নিয়ম করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর তাড়া থাকে না শাবনূরের। একমাত্র ছেলে আইজান নেহানের পড়াশোনার পেছনেই ব্যস্ত সময় কাটে তার। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে ছেলে। স্বামির সাথে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তিনি। এক সময় ঈদ এলেই মুক্তি পেতো শাবনুরের একাধিক ছবি। ঈদের দিন প্রেক্ষাগৃহে ঘুরে ঘুরে ভক্তদের সাথে ছবি দেখতেন, তাদের সাথে আনন্দ শেয়ার করতেন।

এখন আগের সেই ব্যস্ততা না থাকলেও ভক্তদের সাথে শাবনুরের সম্পর্ক এতটুকুন কমেনি। অস্ট্রেলিয়ায় বসেও ভক্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবারের ঈদেও। ঈদের দিন সিডনিতে বসবাসরত তার ভক্তদের বাসায় গিয়ে চমকে দিয়েছেন। তবে কোনো বাসায়ই পাঁচ-ছয় মিনিটের বেশি থাকেননি এই অভিনেত্রী। শাবনুর বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে থাকছি, তবে এবারের মতো আনন্দ হয়নি একবারও। আগে পরিচয় থাকলেও এবারের মতো এতো ফ্রাংকলি মেশা হয়নি। সবার বাসায় গিয়ে মনে হয়েছে বাংলাদেশেই আছি। সিডনিতে এসে অনেক বাংলাদেশীদের সাথে পরিচয় হয়েছে। ঈদের দিন সকালে পরিচিতদের অনেকে আমার আসায় এসেছিলো। তাদের সাথে বসে হঠাৎ পরিকল্পনা করলাম পরিচিতদের মাঝে যারা আসেননি তাদের বাসায় গিয়ে চমকে দিবো। এই চমক দিতে গিয়েই ঈদের পূর্ণ আনন্দটা পেয়েছি।

chardike-ad

সিডনিতে শাবনুর যে বাসায় থাকেন সেখান থেকে অল্প দূড়েই তার ছোট বোন এবং মা থাকেন। ঈদের দিন সকালে সবাই চলে এসেছিলেন শাবনুরের বাসায়। তাই ওইদিন আর তাদের বাসায় যাওয়া হয়নি।

প্রবাসে থেকে শাবনুর সবচেয়ে বেশি মিস করেন বাংলাদেশী সিনেমা। তিনি বলেন, আমার কাছে ঈদের আনন্দপূর্ণতা পায় বাংলাদেশী সিনেমা দেখে। একসময় নিয়মিত আমার ছবি মুক্তি পেতো। যখন আমার ছবি থাকতো না তখন অন্যদের ছবি হলে গিয়ে দেখা হতো। ওই আনন্দটা প্রবাসে বসে পাওয়া যায় না। একারণেই সুযোগ পেলেই দেশে চলে যাই।

শাবনুর বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বরে দেশে যাবো। এএফডিসিতে যাবে। বাংলাদেশী ছবি দেখবো।

২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। বিয়ের দুই বছর পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান এ সেখানে বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর শাবনূরের ঘর আলো করে আসে ছেলে আইজান। প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন।