মুসলমানদের সংখ্যা কম। আর নানান কারণে কমতে থাকে মুসলিমদের সংখ্যাও। তাইতো মসজিদের খেদমতে সব সময় মুসলিমরা সময় দিতে পারেন না। যার ফলে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম মসজিদটি। তাই মুসলিমদের অনুপস্থিতিতে মসজিদের দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে স্থানীয় হিন্দুরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-সূত্রে জানা যায়, ভারতের বিহারের নালন্দার ছোট্ট একটা গ্রাম মারি। এ গ্রামে দিন দিন মুসলিমদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মসজিদে খেদমতে সব সময় মুসলিম সময় দিতে পারে না। তাই সম্প্রীতির বন্ধনস্বরূপ স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদের বিভিন্ন কাজে সময় দেন। ছোট্ট গ্রাম মারির এ বন্ধন ভারতবাসীকে অবকা করেছে।
সংবাদ মাধ্যমে আরও জানা যায়, এ গ্রামে দিনদিন মুসলিমদের সংখ্যা কমতে থাকায় মুসলিমদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তাই স্থানীয় হিন্দুরা মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেন। মুসলিমরা না থাকলে আজানের সময় হলে হিন্দুরাই পেনড্রাইভে সেভ করা আজান মাইকে বাজিয়ে থাকেন।
মসজিদের দেয়ালে রং করা, মসজিদের চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও করছেন তারা। নিজেদের বাড়ি-ঘরের মতোই পরম মমতায় তারা মসজিদে দেখাশোনা করছেন।
উল্লেখ্য যে, মারি গ্রামের মতো কিছুদিন আগে লুধিয়ানাতেও এমন এক ঘটনা সামনে এসেছিল। যেখানে একটি মসজিদের দেখাশোনার সব দায়-দায়িত্ব পালন করে আসছেন স্থানীয় হিন্দুরা। কারণ দেশভাগের সময় লুধিয়ানা হেডন বেটের মুসলিমরা দেশ ছেড়ে চলে যায়। লুধিয়ানায় থাকা মসজিদের দেখাশোনার জন্য কোনো মুসলিম অবশিষ্ট না থাকায় অবশেষে স্থানীয় মুসলিমরাই পালাক্রমে মসজিদ দেখাশোনার দায়িত্ব নেন।