সিউল, ১৮ এপ্রিল ২০১৪:
দক্ষিণ কোরিয়ায় বুধবার ডুবে যাওয়া ফেরির যে ৩০০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে তাদের সবাই নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া, ঘোলা পানি এবং তীব্র স্রোতের কারণে সম্ভাব্য বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
৪৭৫ যাত্রীবাহী একটি ফেরি বুধবার সকালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইনচেয়ন বন্দর থেকে প্রধানত স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘জেজু’ দ্বীপে যাচ্ছিল। ফেরিটির ১৭৯ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো প্রায় ৩০০ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। ডুবন্ত জাহাজটির প্রায় সব যাত্রী ছিল একটি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন-হাই ডুবন্ত জাহাজটি পরিদর্শন করে উদ্ধারকর্মীদের আরো দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সময় দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে এবং এখন প্রতিটি মিনিট ও প্রতিটি সেকেন্ড অত্যন্ত মূল্যবান।
কর্মকর্তারা এ পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন এবং প্রায় ৩০ ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইওনহাপ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে একজন রুশ ও দু’জন চীনা নাগরিক রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত ডুবুরিরা সম্ভাব্য লাশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তিনজন ডুবুরি স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন কিন্তু স্থানীয় একটি মাছ ধরার নৌকা তাদেরকে উদ্ধার করে। ১৬৯টি জাহাজ ও ২৯টি বিমান ও হেলিকপ্টার তল্লাশির কাজে অংশ নিয়েছে। সাগরের পানিতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন অন্তত ৫০০ ডুবুরি। কিন্তু দুর্ঘটনস্থলে সমবেত স্বজনরা এতে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, “বেঁচে থাকুক বা মারা যাক, আমরা অন্তত আমাদের স্বজনের লাশটি একবার দেখতে চাই।”