সিউল, ১৯ এপ্রিল ২০১৪:
দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে ৪৭৬ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরির ক্যাপ্টেন ও দুই ক্রুকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা ও দেশটির প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন দিন আগে সেখানে এ ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটে।
এদিকে ডুবুরিরা ওই ফেরির ভেতরে প্রবেশ করে অনেক লাশের সন্ধান পেয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া ৬৯ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন লি জুন-সিওক ও তার দুই ক্রুকে শনিবার সকালে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়, ওই ক্যাপ্টেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, ফেরিটি প্রথম বিপদ সংকেত পাঠানোর ৪০ মিনিটের বেশি সময় পরও কেন যাত্রীদের আসন ও কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল?
এর জবাবে লি জুন-সিওক বলেন, ঘটনাস্থলে কোন উদ্ধারকারী জাহাজ বা আশপাশে মাছ ধরার কোন নৌকা বা অন্য কোন জাহাজ ছিল না। ওই সময় জোয়ারের গতিও ছিল অনেক বেশি। পানি ছিল ঠান্ডা। এসব কথা বিবেচনা করে যাত্রীদের ওই আদেশ দিয়েছিলেন তিনি।
গত বুধবার ইনচিয়ন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ৪৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। এদের মধ্যে ৩২৫ জনই শিক্ষার্থী।
এছাড়া ফেরি দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও ২৭৩ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে নিখোঁজ যাত্রীরা আর বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জাতীয় কোস্ট গার্ডের উপ-পরিচালক চোই সাং-হোয়ান বলেন, বেসামরিক ডুবুরিরা ফেরিটির একটি জানালা বরাবর তিনটি লাশ সনাক্ত ও তাদের উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, এ উদ্ধার অভিযানে ৫ শতাধিক ডুবুরি কাজ করছে। এর পাশাপাশি সেখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবকও কাজ করছে।