Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মুন্সীগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে লন্ডন প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, আহত ৬

probasiমুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে এক লন্ডন প্রবাসীর বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার উত্তর মান্দ্রা গ্রামে এ হামলার ও লুটের ঘটনা ঘটে।

লন্ডন প্রবাসী জাকিরের মা মানিকি বেগম জানায়, আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় আঃ রউফ গং তার লোকজন নিয়ে জাকির হোসেনের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে আমরা তোমাদের জমিতে থাকতে দেবনা বলে শাসায়। এর পার থেকে তারা আমাদের বাসার সামনের দোকানের ভাড়াটিয়া দের হুমকি ধমকি দেয়। আব্দুর রউফ ও হালিম বেপারী গং এ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে আঃ রউফ গংদের বিরুদ্ধে পিটিশন মোকদ্দমা নং ৬৬৮/১৫ দায়ের করেন।

chardike-ad

তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়। আমার ছেলে জাকির হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর লন্ডন হতে ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। আমরা মামলা করায় আঃ রউফ ও হালিম বেপারীসহ রোমান মোল্লা, মাসুদ বেপারী, আবু কালাম, শামীম, রুবেল, সিরাজ, রাকিব, ও মাহি মোল্লা গং হতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাড়িতে এসে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করায় আঃ রউফ গং আমাকে সহ ছেলে জাকির, মেয়ে কমলা বেগম ও মনিরের উপর হামলা করে। আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারিভাবে লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ঐ সময় আমার মেয়ে জামাই, ভাবি তাদেরকে রক্ষা করার জন্য এগিযে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে। আঃ রউফ গং আমার মেয়ের গলার স্বর্ণের চেইন নিয়ে তার পরনের কাপড় টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানী করে। ঘরে থাকা ষ্টীলের আলমারীতে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা জাকিরকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় আমার ছেলে জাকির হোসেন ও ভাতিজা মনির চিৎকিসার জন্য শ্রীনগর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জাকির হোসেন সংবাদিক দের জানায়, থানায় মামলা করায় পরে তারা অগ্রীম জামিন নিয়ে এসে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি ভয়ে এলাকায় যেতে পারছিনা। এখন আমার পালিয়ে থাকতে হচ্ছে।

এই ঘটনায় লন্ডন প্রবাসী জাকিরের মা মানিকি বেগম বাদী হয়ে আঃ রউফসহ ১১ জনকে বিবাদী করে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন। যার মামলা নং- ১২।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউনুচ আলীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রেকর্ড হয়েছে। আমরা গ্রেফতারের জন্য সচেষ্ট রয়েছি।