Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় তরুণ-তরুণীদের স্মার্টফোন আসক্তি রোধে নিরাময় কেন্দ্র

korea-smartphone-userস্মার্টফোন আসক্তি বর্তমান সময়ে পরিবার ও সামাজিক পরিসরের অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সামাজিক সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করা স্মার্টফোনের ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক দিক তাই দুশ্চিন্তায় ফেলছে অনেককে। বিশেষ করে এই আসক্তি দেখা দিয়েছে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। আর এর বড় অংশই হালের প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়।

সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তি আশঙ্কাজনক। তারা অনেকেই দিনের অর্ধেকটা সময় ব্যয় করছেন স্মার্টফোনে।

chardike-ad

korea-girlএ অবস্থায় সচেতনতা তৈরিতে ক্যাম্পেইন চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। আসক্তদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে নিরাময় কেন্দ্রও। যেখানে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে খেলাধুলা ও বিনোদনের। দেশটির চিওনান শহরে জাতীয় যুব কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে এই ক্যাম্প।

স্মার্টফোন আসক্তির কারণে এই ক্যাম্পে সেবা নেয়াদের একজন ইয়ু চায়ে-রিন। এই কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। গড়ে প্রতিদিন ১৩ ঘন্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করতেন ইয়ু। ফোন ব্যবহারে সাময়িক স্বস্তি পেলেও পরবর্তীতে মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে স্মার্টফোন আসক্তি বিষয়ক দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ক্যাম্পে সেবা নেন ইয়ু চায়ে-রিন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও’র মতে, স্মার্টফোন আসক্তি সাময়িক মনে হলেও কিশোর-কিশোরীদের ওপর এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার কিংবা আসক্তি ক্রোধ, দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতা তৈরি করে। যার ফলে পরিবার, বন্ধু এবং চাকুরি হারিয়ে একাকীত্ব বরণের ঝুঁকি রয়েছে স্মার্টফোন আসক্তদের।