ওয়ানডে বিশ্বকাপটা একদমই ভালো যায়নি। লজ্জার ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ৯টি ম্যাচ হেরে দেশে ফিরেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ব্যর্থতার দায়স্বরূপ অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে গুলবদিন নাইবকে। তার জায়গায় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে তরুণ লেগস্পিনার রশিদ খানকে। দলের অন্যতম সেরা পারফরমারকে দায়িত্ব দিয়ে ২০২৩ সালের
টি-টোয়েন্টি ফরমেটে আফগানিস্তান রীতিমতো ভয়ংকর এক দল। গত বছর ভারতের দেহরাদুনে তাদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই আফগানিস্তান এবার টি-টোয়েন্টির প্রায় সব রেকর্ড নিজের করে নিলো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেহরাদুনেই, ম্যাচের এক ইনিংসে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ডটি এতদিন দখলে ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৬ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটে
নিউজিল্যান্ড সফরটা হাতভরে যেমন সাফল্য দিচ্ছে, ঠিক সমানতালে যেন লজ্জাতেও ফেলছে ভারতকে। দিন কয়েক আগে এই কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার দেখে ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি ফরমেটেও বড় লজ্জাটা পেয়ে গেল বিরাট কোহলিবিহীন দলটি। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাদের ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এটিই এই ফরমেটে
তাকে বলা হয় টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। এই ফরমেটে ক্রিস গেইলের রেকর্ডের ধারেকাছেও কেউ নেই। ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক। ৩৫৪ ম্যাচে ১২ হাজারের উপর রান, গড় ৪০.২৫। ১৪৮.২৩ স্ট্রাইক রেটটাও ঈর্ষণীয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দশ হাজারের বেশি রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান গেইল। ৮৯১ ছক্কায় আছেন সবার উপরে। এই ফরমেটে
টেস্ট এবং ওয়ানডের বাজে ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও অব্যাহত রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিক ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না তারা। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে এক প্রকার নাস্তানাবুদ হয়েই হেরেছে তারা। মূলত রোহিত শর্মার দারুণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই উইন্ডিজকে ৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। এর ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে টানা ৭টি টি-টোয়েন্টি
আরব আমিরাতে ক্রিকেট সিরিজ, আর সেটা জিতবে না পাকিস্তান- এমনটা খুব কমই হয়। তারওপর সিরিজটা যদি হয় টি-টোয়েন্টির, তাহলে তো কথাই নেই। অবধারিত জয় পাকিস্তানিদের। এই যেমন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও জিতে নিলো পাকিস্তানিরা। সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচে কিউইদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। এ নিয়ে
টি-টোয়েন্টিতে গত দুই বছরে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান। একটি-দুটি নয়, টানা দশটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা। শুক্রবার রাতে দুবাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১১ রানে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত হয়েছে টানা দশম টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের মাঠে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু। এরপর একে
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। তাও সেটি ছিল ওয়ানডে ম্যাচ। সব মিলিয়ে পুরো ম্যাচে খেলা হলো ১০০ ওভার। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বরে ঘটনা। ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শকরা ছক্কাবৃষ্টি দেখেছিল সেদিন। রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাক্সওয়েল, ফকনার কিংবা ওয়াটসন- সবার ব্যাটেই ছিল ছক্কা ঝড়।
ছেলেদের মতো মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও র্যাঙ্কিংয়ের প্রবর্তন করল আইসিসি। এবারই চালু হওয়া ছোট এই ফরমেটের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে তিনবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের মেয়েরাও আছে সেরা দশে, তাদের অবস্থান নবম। উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত। ২৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পঞ্চম স্থানে। বাংলাদেশের উপরে আছে পাকিস্তান