১৯৪৮ সালে পর প্রথমবারের মতো দুই কোরিয়ার সেনাদের মধ্যে মোলাকাত হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ প্রক্রিয়াকে ৭০ বছর পর ‘ঐতিহাসিক সেনামিলন’ হিসেবে অভিহিত করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই কোরিয়ার বিভাজনের পর এই প্রথম দেশ দুটির সেনারা শান্তিপূর্ণভাবে বিভাজন রেখা (ডিএমজেড) অতিক্রম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে পরিসমাপ্তির বিষয়টি এই মুহূর্তে শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুক্রবার রাজধানী সিউলে বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে শুরু হওয়া কোরীয়যুদ্ধ ১৯৫৩ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় থাকলেও শান্তিচুক্তি এখনও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। কিন্তু মুনের
উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের দুর্ভেদ্য সীমান্ত অঞ্চল থেকে স্থলমাইন অপসারণ শুরু করেছে। গত মাসে দুদেশের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সম্প্রদানের পর নিজেদের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে এ স্থলমাইন সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর সিএনএন। উক্ত বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া মার্কিন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে ওয়াশিংটন দুই কোরিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দৈনিক রডং সিনমুন এক নিবন্ধে এই বক্তব্য তুলে ধরেছে। পত্রিকাটিকে পিয়ংইয়ংয়ের মুখপত্র বলে মনে করা হয়। পত্রিকাটি এক নিবন্ধে বলেছে, অনেক কষ্টে উত্তর
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার জের ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বুধবারের শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপ স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই সামরিক মহড়া কোরীয় উপদ্বীপে দুই কোরিয়ার উষ্ণ সম্পর্কের জন্য হুমকি। এদিকে ১২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা
দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া আগামীকাল ১৬ মে সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। মঙ্গলবার সিউল একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়। খবর সিনহুয়া’র। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা পানমুনজমের পিস হাউসে আলোচনায় বসবেন। এ সময়ে তারা পানমুনজম ঘোষণা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার
দুই কোরিয়ার অবিশ্বাস্য পদক্ষেপ ছাপ ফেলল উপমহাদেশেও। দশকের পর দশক ধরে পরস্পরকে যুদ্ধের হুঙ্কার শোনাতে থাকা উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া অত্যন্ত দ্রুত বদলে ফেলছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি। কিম জং-উন এবং মুন জে-ইনের বৈঠকের পরে বেনজির সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে কোরীয় উপদ্বীপে। তার প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন, ভারত-পাকিস্তান কেন এই ভাবে
দুই কোরিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্মেলনের আয়োজনের পিছনের নায়ক কে? শুক্রবার পানমুনজামে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন যে ইনের মধ্যে বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ার পর নৈপথ্যের নায়ক নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। কোরিয়ান মিডিয়াও অনেককে সামনে এনেছে। ট্রাম্প, মুন নাকি কিম? আলোচনায় থাকা এই তিনজনকে ছাড়িয়ে আরেকজনের
দুই কোরিয়ার নেতা এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়ে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় নেতারা সদ্ভাবের প্রতীক হিসেবে বৃক্ষরোপণ করেন। তবে গাছ নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে এটিই প্রথম ঘটনা নয়; আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ৪২ বছর আগে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, ১৯৭৬ সালে একটি পপলারগাছ
দুই কোরিয়ার মধ্যে শুক্রবার স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তির পর সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের স্ত্রী রি সোল জু। তাকে অভ্যর্থনা জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের স্ত্রী কিম জাং সুক। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়ানহাপ নিউজ লিখেছে, সীমান্তবর্তী পানমুনজমে হওয়া সফল আলোচনা অনুষ্ঠানের পর নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন