সব সংশয় দূর করে, সকল অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এসএ গেমস ক্রিকেটে মেয়েদের পর স্বর্ণ জয় করলো বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটাররাও। এই তো ২৪ ঘন্টা আগে গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯ উইকেটের শোচনীয় পরাজয় রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছিল। রাজ্যের শঙ্কা এসে ভর করেছিল। মনে হচ্ছিল স্বর্ণপদক বুঝি ‘সোনার হরিণ’ হয়েই থাকবে। বার বার
প্রথম ম্যাচে বড় হার। পরের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর ১ উইকেটের জয়। এবার আর তেমন হলো না। দাপট দেখিয়েই জিতলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে তাদেরই মাটিতে খাওয়ালো নাকানি চুবানি। সিরিজের অনানুষ্ঠানিক তৃতীয় ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে স্বাগতিকদের ৯৮ রানে হারিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে
শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। উইকেটে সানজামুল আর এবাদত হোসেন। এমন পরিস্থিতিতে তো ব্যাটসম্যানরাই পারেন না, বোলাররা কিভাবে পারবেন? সানজামুল আর এবাদত তবুও চেষ্টা করলেন এবং শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর এক ম্যাচে বাংলাদেশকে ১ উইকেটের ব্যবধানে জয় উপহার দিলেন তারা। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের ছুঁড়ে দেয়া ২২৭
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৩ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো শ্রীলঙ্কা। নিরাপত্তাজনিত কারণে ১০ ক্রিকেটার পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আসা শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টুয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হয়ে রীতিমতো লজ্জায় নিমজ্জিত হলো। বুধবার (৯ অক্টোবর) লাহোরে
দেশের মাটিতে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। দুই দলের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দানুস্কা গুনাথিলাকার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৯৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে
আফসোস মুশফিকের জন্য। অপরাজিত থাকলেন, কিন্তু মাত্র ২ রানের জন্য ৮ম সেঞ্চুরিটা পেলেন না। তবুও এককভাবে যে লড়াই করলেন মুশফিকুর রহীম, তাতেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াকু স্কোর গড়ে তুলতে পারলো বাংলাদেশ। মুশফিকের অপরাজিত ৯৮ রানের ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। এক প্রান্তে যখন একের পর এক
ইনিংসের বেশিরভাগ সময়ই লাগামছাড়া বোলিং করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে ছিল দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিস। যে সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে বড়সড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় স্বাগতিক দল ৮ উইকেটে তুলেছে ৩১৪ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ৩১৫ করতে হবে টাইগারদের। লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয়
র্যাংকিংয়ে একটা সময় বাংলাদেশের ওপরই থাকতো শ্রীলঙ্কা। তবে এখন সময় বদলেছে। ওয়ানডেতে টাইগাররা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এই বাংলাদেশকে এখন ধরতে চাইছে লঙ্কানরা। দিন কয়েক পরই শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। সে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার আগাম হুমকি দিয়ে রাখলো স্বাগতিক দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এখন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দল। সিরিজের