ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি, সাকিবের সেঞ্চুরি মিস, তামিম-সাকিবের ২০৭ রানের জুটি, মুশির বোম্ব ইনিংস, পীর সাহেবের (মাশরাফি) ৪টি উইকেট, ম্যাশ আসতেই যেন সব বদলে গেল।
অথচ ম্যাচ শুরুর আগে কত প্রশ্ন-টেস্টে সিরিজের হাতাশা ভুলতে পারবে তো টাইগাররা, মাশরাফিই কি বদলে দেবে টাইগারদের। আর এমন শত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল একটি মাত্র জয়। উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মাশরাফি বাহিনী। ম্যাশের দুরন্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে ২৩১ রানে বেধে দেয় টাইগাররা। ম্যাশ নেন ৪ উইকেট।
২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সব ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও দুই টেস্টে বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াল দল। ৯ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে জিতল কোনো ম্যাচ। এছাড়াও চলতি বছর মোট ৬টি ওয়ানডে খেলেছে টাইগাররা। এর মধ্যে ৪টিতে জিতেছে এবং ২টিতে হেরেছে তবে দুটি হারই ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এক কথায় মাশরাফি আসলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। যে দলটা তিন দিনে টেস্ট হারে, সেই দলকেই আবারো জয়ের ধারায় ফিরালেন তিনি। দেশে স্ত্রী অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দেশের জন্য আবারও ব্যাক্তিগত স্বার্থকে ত্যাগ করলেন, এজন্যই সে কিংবদন্তি।



































