কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এতে ২১১ রানের লিড পেয়েছে লঙ্কানরা। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ১৩১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের ৫৬তম টেস্ট খেলতে নেমে ১৭তম বারের মতো ফাইফার পূর্ণ করলেন তিনি।
আজ শুক্রবার ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ১৫ রান যোগ করতেই দিনের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে দলীয় ৩০৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল।
দিনের ষষ্ঠ আর ইনিংসের ৮৪তম ওভারের প্রথম বলে নিশাঙ্কাকে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ বানান বাঁহাতি টাইগার স্পিনার তাইজুল। ২৫৪ বলে ১৫৮ রান (১৯ চারে) করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান লঙ্কান ওপেনার।
তাইজুলের বলে সামনে এগিয়ে এসে পুল করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। কিন্তু ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ না ঘটায় ধরা পড়েন শর্ট কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করা বিজয়ের হাতে।
ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে নতুন ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও (১০ বলে ৭) সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। ৮৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। আম্পায়ার সরাসরি আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ দেন লঙ্কান অধিনায়ক। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। ডিআরএসে বল স্টাম্পে হিট করায় আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আম্পায়ার। দলীয় ৩১৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
২২ রান যোগ হতেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন নাহিদ রানা। ৮৯তম ওভারের শেষ বলে প্রবাত জয়সুরিয়াকে (৩৯ বলে ১০) থার্ড স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার। এই সিরিজে এটি রানার প্রথম উইকেট।
৯৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান নাঈম ইসলাম। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি করা বাঁহাতি লঙ্কান ব্যাটারকে বোল্ড করেন ডানহাতি টাইগার স্পিনার। ৪১ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন কামিন্দু।
এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। একের পর এক উইকেট হারায় তারা। ১১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে তাইজুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আসিথা ফার্নান্দো সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ হলে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়। অন্যদিকে ফাইফার পূর্ণ হয় তাইজুলের। তাইজুল ছাড়াও লঙ্কানদের এই ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করেন নাঈম হাসান। ১ উইকেট পান নাহিদ রানা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল অগোছালো। ওপেনার শাদমান ইসলাম ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও অপর ওপেনার আনামুল হক ১০ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেন। এরপর মুমিনুল হক (২১), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৮) ও মুশফিকুর রহিম (৩৫) থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন।
মাঝপথে লিটন দাস ৩৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩১, নাইম হাসান ২৫ ও তাইজুল ইসলাম ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তবে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশ ৭৯.৩ ওভারে ২৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়।



































