
প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ায় শুধুমাত্র মাংস খাওয়ার জন্য ৭ থেকে ১০ লাখ কুকুর হত্যা করা হয়। প্রতীকী ছবি
প্রাণী অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়তে থাকার মধ্যে প্রাচীন প্রথা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা।
কোরীয়দের কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস বিদেশিদের কাছে নিষ্ঠুরতার জন্য সমালোচিত হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতরেও কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে মত জোরাল হচ্ছে, বিশেষ করে তরণ প্রজন্মের মধ্যে।
ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির নীতি প্রধান ইউ ইউই-ডং সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রাণী অধিকার কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, “কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের অবসান ঘটাতে একটি বিশেষ আইন জারির সময় এসেছে।”
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল চলতি বছর কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার জন্য পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে দ্বিদলীয় সমর্থন লাভের আশা প্রকাশ করে ইউই-ডং বলেন, “বিলটি পার্লামেন্টে সহজেই পাস হওয়া উচিত।”
দেশটির কৃষিমন্ত্রী চুং হোয়াং-কেউন এক বৈঠকে বলেছেন, “সরকার দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে এবং কুকুরের মাংস ব্যবসায়ীদেরকে তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি কুকুরের মাংস খাওয়ার একজন সোচ্চার সমালোচক এবং তার স্বামী প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলেও সঙ্গে তিনিও লালন-পালনের জন্য নেড়ি কুকুর নিয়েছেন।
‘কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ’ বিল অতীতে পাস করানো যায়নি এ ব্যবসায় জড়িতদের প্রতিবাদের কারণে। তাই এবারের প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা বিলে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ড এবং কুকুরের মাংস ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তার বিধান রাখা হচ্ছে।








































