শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ১২ মে ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

২০২৪ সালে চা রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশ


২০২৪ সালে চা রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশ

২০২৪ সালে চা রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৫৭.৫৫ শতাংশ বা ১.৪১ মিলিয়ন কেজি বেড়ে ২.৪৫ মিলিয়ন কেজিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। এতে আয় হয়েছে ৪৫৯.৫৮ মিলিয়ন টাকা।

বর্তমানে দেশের চা রপ্তানিকারীদের মধ্যে রয়েছে এমএম ইস্পাহানি লিমিটেড, আবুল খায়ের কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড এবং হালদা ভ্যালি টি এস্টেট লিমিটেড। বাংলাদেশের চা রপ্তানি হচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও স্পেনে।

২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করলেও পরবর্তীতে তা নেমে আসে ১ মিলিয়নের নিচে।

২০২৪ সালে গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ চা রপ্তানি হয়েছে। তবে এ সময় প্রতিকেজি চায়ের গড় রপ্তানি মূল্য কমে ১৮৭.৫৮ টাকা হয়—যা ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের গড় মূল্য ২৫০-২৬০ টাকার তুলনায় বেশ কম।

২০২৫ সালের প্রাথমিক তথ্য রপ্তানি আয়ে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতি কেজি চায়ের গড় রপ্তানি মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৬.২৬ টাকা।

দেশে নিলামে প্রতি কেজি চা ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও রপ্তানিতে এর দাম প্রায় ২৫০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেশি দামে রপ্তানি করা যাচ্ছে।

চা রপ্তানিকারকরা জানান, বাংলাদেশ থেকে মূলত কালো ও সবুজ চা রপ্তানি হয়, যার মধ্যে কালো চায়ের পরিমাণ বেশি। একসময় আমদানিনির্ভর হলেও এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর উদ্বৃত্ত চা বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে বলে আশা তাদের।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ড. পীযূষ দত্ত দ্য গণমাধ্যমকে বলেন, “চায়ের উৎপাদন এবং মান উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মান ভালো হলে রপ্তানিতেও ভালো দাম পাওয়া যাবে। ২০২৫ সালে চা রপ্তানিতে আরও অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।”

২০২৫ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০৩ মিলিয়ন কেজি। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে উৎপাদন হয়েছে ১.৬২ মিলিয়ন কেজি।

বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন-এর চেয়ারম্যান কামরান তানভীরুর রহমান বলেন, “দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে। রপ্তানির পরিমাণ ২.৫ মিলিয়ন কেজি থেকে ১০ মিলিয়ন কেজিতে নেওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাগান মালিক ও চা ব্যবসায়ীদের একযোগে কাজ করতে হবে।”