
স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য জনগণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় পর নির্ভয়ে ও নিরাপদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতার বক্তব্য গণতন্ত্রকামী মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিস্ট চক্র পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে। লিখিত বিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়; এ জন্য জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প নেই। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারই জনগণকে শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু নানা শর্ত বা বাধা আরোপ করা হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা সংকটে পড়ে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগ কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। অথচ ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তির মধ্যে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননার সামিল।
তিনি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে প্রচলিত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিরোধ ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির পরিকল্পনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিএনপি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করছে। ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগানো এবং খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন গুম ও নিহত নেতাদের স্বজনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।






































