
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে এবার সরকার নয়, বরং রাজপথের সহযোদ্ধা কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর আচরণও স্বৈরাচার সরকারের মতো হয়ে উঠছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিএনপির বিজয় ঠেকাতে যে কোনো অপকৌশল বা শর্ত জনগণ মেনে নেবে না। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বক্তব্য, মন্তব্য বা নিত্যনতুন শর্ত জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপিকেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। এই ভয়ে আগের স্বৈরাচার সরকার যেমন বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা অন্তর্ঘাতী অপরাজনীতি করেছে, তেমন প্রবণতা এখনো কেউ কেউ দেখাচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতি করতে গিয়ে আগের সরকার বাংলাদেশকে একটি “তাঁবেদারি রাষ্ট্র” ও “বড় জেলখানায়” পরিণত করেছিল। এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দেবে।
প্রস্তাবিত পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এই পদ্ধতি উপযুক্ত নয়। জনগণের সরাসরি জানার অধিকার আছে তারা কাকে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বানাচ্ছে। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে তা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে আসন্ন নির্বাচনকে ঘোলাটে করার নামে কেউ যেন অজান্তেই স্বৈরাচার পুনর্বাসনের সুযোগ না করে দেয়।”
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত লোভ কাজ করেছে, ধর্মীয় কারণ নয়। বিএনপি বিশ্বাস করে—“ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; আর নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার।”






































