
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দিল
আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দুর্দান্ত জয়ে ২০২৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল জিম্বাবুয়ে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে তারা।
আফ্রিকা থেকে ইতিমধ্যে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাশাপাশি তানজানিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নামিবিয়া। শেষ দল হিসেবে এবার সেই তালিকায় নাম লিখল জিম্বাবুয়ে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের বেশি করতে পারেনি কেনিয়া। দলের হয়ে একাই লড়াই চালান রাকেপ প্যাটেল। তিনি ৪৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৬৫ রান। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি অন্য ব্যাটাররা। সচিন গিল করেন ১৯, জসরাজ কুন্ডি ১৩ এবং পুশকর শর্মা ১১ রান।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এছাড়া রিচার্ড এনগারাভা, টিনোটেন্ডা মাপোসা ও ব্র্যাড ইভান্স পান একটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় নামতে জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই দেখিয়ে দেয় তাদের আগ্রাসন। ওপেনার ব্রায়ান বেনেট খেলেন মাত্র ২৫ বলে ঝোড়ো ৫১ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। তার সঙ্গী তাদিওয়ানাশে মারুমানি করেন ২৭ বলে ৩৯ রান। দুজনের ৭৬ রানের জুটিতে সহজ হয়ে যায় জয়ের পথ। শেষ পর্যন্ত ৩০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। কেনিয়ার হয়ে ভ্রাজ প্যাটেল নেন ২ উইকেট আর ধীরেন গোঁদারিয়া নেন ১ উইকেট।
এর আগে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হয়নি জিম্বাবুয়ের। সেবারের বাছাইয়ে ফাইনাল রাউন্ডে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।
এবার জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপে ফেরার দিনে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়েছে কেনিয়া। ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা দলটি ২০০৭ সালে প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিল। এরপর আর কখনোই মূল আসরে জায়গা করতে পারেনি তারা।
এই জয়ের ফলে আফ্রিকা থেকে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে।





































