
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে সরকার জানিয়েছে, দাম এতটা বাড়ানো যাবে না; অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমিয়ে নির্ধারণ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীর মধ্যে দরকষাকষি চলছে। এটি আগামী রোববার আরেক দফা বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিব মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তসলিম, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ারসহ অন্যান্য শীর্ষ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন কয়েক মাস ধরে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। ৮ সেপ্টেম্বর তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন ও পামতেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর ট্যারিফ কমিশন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার লিটারে ১ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানেননি।
অ্যাসোসিয়েশন পরে ১০ নভেম্বর নতুন চিঠি জমা দিয়ে বলেন, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্যতেলের দাম নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ নভেম্বর থেকে বোতলজাত তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১৭৯ ও পামওয়েল ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হলেও সরকার অনুমোদন দেয়নি।
বাণিজ্য সচিব জানান, ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় দাম বাড়িয়েছে তা আইনি ভিত্তিহীন। বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে ব্যবসায়ী শফিউল আতাহার তসলিম জানান, “সরকারের নির্দেশনা বিবেচনায় আমরা যতটুকু না বাড়ালেই নয়, ততটাই বাড়িয়েছি। সরকার যে হিসাব করেছে, তা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়নি। আগামী রোববারের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”









































