বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ন
শেয়ার

দাড়ি-টুপিকে ‘রাজাকারের প্রতীক’ বানানোর তীব্র নিন্দা হেফাজতের


hefajot

ফাইল ছবি

ইসলামের অন্যতম বিধান ও মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক দাড়ি-টুপিকে ‘রাজাকারের প্রতীক’ হিসেবে উপস্থাপন করে ঘৃণা চর্চা ও অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের আজন্ম লালিত প্রতীক দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানিয়ে পুনরায় ঘৃণ্য অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। যারা জাতিকে বিভাজিত করে এই ধরনের ঘৃণাজীবী হিসেবে কাজ করছে, তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে।’

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মুসলিম পরিচয় ও ধর্মীয় প্রতীকগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ইসলাম নির্মূলের রাজনীতি করা হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের পর দেশ যখন শান্তি ও সহাবস্থানের পথে এগোচ্ছে, তখন হিন্দুত্ববাদী অপশক্তি ও বাম-সেকুলাররা পুনরায় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে আলেম সমাজ চুপ করে বসে থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় বয়ানের কথিত ‘রাজাকার’ বয়ান ধসে যাওয়ায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের নতুন বিপ্লবী প্রজন্ম আধিপত্যবাদী শক্তির চাপিয়ে দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একাত্তরের জনযুদ্ধ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বা কারও বাবার সম্পত্তি নয়। সাতচল্লিশের ধারাবাহিকতায় একাত্তর এবং একাত্তরের উত্তরসূরি হলো চব্বিশের বিপ্লব। এটি আমাদের আজাদী বা স্বাধীনতার একটি নিরবচ্ছিন্ন সিলসিলা।’

বিজয়ের এই মাসে একাত্তরের জনযুদ্ধ ও বিজয় নিয়ে সত্য ও নিরপেক্ষ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হেফাজতের এই নেতা।