বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে ২৭ ডিসেম্বর শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে সমাবেশের জন্য নির্ধারিত ভাওয়াল বদর আলম কলেজ মাঠ পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমের কাছে এই ঘোষণা দেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ।
হারুনুর রশিদ বলেন, “উভয়পক্ষ কোন সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কাউকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কটূক্তির বিষয়ে দলটির তরফে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে তাঁদেরকে কোথাও কোন সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার গাজীপুরে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত সভাস্থলে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় সংগঠনটি।
বিএনপি যে কোন মূল্যে ২৭ ডিসেম্বরের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। জনসভা প্রতিহত করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে ছাত্রলীগও। এমন পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতার মুখে ১৪৪ ধারা জারির এ ঘোষণা দিলো প্রশাসন।
এদিকে সমাবেশে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “জনসভা বানচাল করতে সরকার পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলীয় করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠক শেষে রাতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলীয় অবস্থান জানানোর কথা রয়েছে।