স্বপ্নভঙ্গের যাতনা নিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরই দেশে পা রাখার কথা পেসার আল আমিন হোসেনের। বিসিবি জানিয়েছে, দলের শৃঙ্খলা ভাঙার কারণেই তাঁকে দেশে পাঠানো হচ্ছে। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি, নির্দিষ্ট করে বললে কোনো জুয়াড়ির সঙ্গে আল আমিনের সম্পর্ক থাকার কথা নাকচই করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি না নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি পৌনে ১১টায় ব্রিসবেনের হোটেলের বাইরে যাওয়ার জেরেই তাঁকে দেশের ফেরত আসতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। জানা যায়, সেদিন আল আমিন রাত পৌনে ১১টার দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। ফিরে আসেন রাত ১২টার দিকে। বিসিবির ভাষ্যমতে, এটা স্পষ্টতই ‘টিম রুলস’ ভঙ্গ। আর এ কারণেই তাঁকে বিশ্বকাপ না খেলেই দেশে ফেরত যেতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল আমিন না হয় অনুমতি না নিয়েই সেদিন রাতে হোটেলের বাইরে গিয়েছিলেন, কিন্তু এত রাতে তিনি হোটেলের বাইরে কেন গিয়েছিলেন, সে উত্তর কিন্তু স্পষ্ট করে দিচ্ছেন না কেউই।
খবর রটেছে, সম্প্রতি আকসু কর্মকর্তারা নাকি আল আমিনকে একটি নির্দিষ্ট নাম ধরে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। একজন ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তিনি তাঁকে চেনেন কি না। আল আমিন আকসু-কর্তাদের জানিয়েছেন, ওই লোকটিকে তিনি চেনেন। গত অক্টোবরে চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় বিমানবন্দরে নাকি তাঁর সঙ্গে পরিচয়। আকসু সব জেনে আল আমিনকে ওই লোক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি ইংরেজি সংবাদপত্র তো শিরোনামই করেছে, ‘বুকির সঙ্গে যোগ থাকার কারণেই আল আমিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবির মিডিয়া-প্রধান জালাল ইউনুস বললেন, ‘আকসু আমাদের জানিয়েছে, আল আমিনের বিরুদ্ধে তাদের দুর্নীতি-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই। তবুও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কারণ, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে আমরা “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করেছি। তবে বুকিদের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, এ সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই।’