একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, সে বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানতে কারাগারে গেছেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ম্যাজিস্ট্রেট তানভির আহম্মেদ ও মাহমুদ জামিল কারাগারে যান।
উল্লেখ্য, সোমবার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। বুধবার সন্ধ্যায় রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছার পর কামারুজ্জামানকে রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপর নিজের আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাণভিক্ষার চাওয়া-না-চাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি। গতকাল অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের নেতৃত্বে পাঁচ আইনজীবী কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, `যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই কামারুজ্জামান তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ভাবনা-চিন্তার জন্য একদিন, দু`দিন, তিন দিনও সময় নিতে পারবেন তিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত কামারুজ্জামান তার সিদ্ধান্ত জানাবেন না, ততক্ষণ এ রায় কার্যকর করা অনুচিত। আইনগতভাবেও এ রায় কার্যকর করা ঠিক হবে না।`
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, কারাবিধি অনুযায়ী প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে সাত দিনের কথা বলা থাকলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে তা প্রযোজ্য নয়। এ আইনে রায় হওয়ার পর তা কখন কার্যকর হবে সেটা পুরোপুরি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে কারা-আইন প্রযোজ্য হবে না।