জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিসিকে এওয়ার্ড ২০১৬। কোরিয়ায় বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ১৮ জন বাংলাদেশী, ৩ জন কোরিয়ান এমপ্লয়ার, ৩ জন কোরিয়ানকে কোরিয়ান অব দ্য ইয়ার ফর বাংলাদেশ এওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে এওয়ার্ডের ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন। আনন্দঘন পরিবেশে বিসিকে এওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি বাংলাদেশীদের প্রতিক্রিয়া ছিলো চোখে পড়ার মতো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেন ‘আমি অনেক বাংলাদেশ কমিউনিটি দেখেছি। কিন্তু আমার দেখা কমিউনিটিগুলোর মধ্যে কোরিয়ার বাংলাদেশ কমিউনিটি শ্রেষ্ঠতম। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখার জন্য কোরিয়ার বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেইবি ব্যাংকে হানা ব্যাংকের ডিরেক্টর ক কিম সন গিও, সিউল ফরেন রেসিডেন্স কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন সুন হোয়া। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, কাউন্সিলর রুহুল আমিন এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহান বিজয় দিবস উৎযাপন কমিটির প্রধান ডঃ চ্ছোয়ে আরিফ। এওয়ার্ড অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এওয়ার্ড উপকমিটির প্রধান ডঃ হুমায়ুন কবির এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল। সভাপতির বক্তব্যে বিসিকে সভাপতি হাবিল উদ্দিন অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য সকল কোরিয়া প্রবাসী, অতিথিবৃন্দ, স্পন্সরবৃন্দ, বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী শিল্পীবৃন্দ, কোরিয়া প্রবাসী শিল্পীবৃন্দসহ অনুষ্ঠানকে সফল করার নৈপথ্যে যারা কাজ করেছে তাদের সবাইকেও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে বিসিকে নির্বাহী সদস্য জুয়েল আহমেদ এবং ইজাজ আহমদের পরিচালনায় কোরিয়া প্রবাসীদের পরিবেশনায় গান, কৌতুক এবং কবিতা উপভোগ করেন প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ থেকে আসা শিল্পী পড়শি এবং প্রতীক হাসান। তাদের গানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ছিল দর্শকদের মুখে মুখে। জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা দিয়ে গানের পর্ব শেষ করেন এই দুই জনপ্রিয় শিল্পী।
পুরো আয়োজনের পৃ্ষ্টপোষক হিসেবে ছিল কেইবি ব্যাংক, সিউল সিটি, ফর ইউ মার্ট, ফরেন ফুড মার্ট, টিটো ট্রাভেলস, ওয়ার্ল্ড ট্রেড এন্ড ট্রাভেলস, মিরে ট্রেডিং, ওয়ার্ল্ড স্টোর, এমএস ট্রাভেলস, গ্যাঞ্জেস এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাভিশন ও বাংলা টেলিগ্রাফ।